বীর চট্টলায় বীরের বেশে সাফজয়ী ৫ বীরকন্যা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাফ গেমসে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে আকাশে তুলে ধরা নারী ফুটবলারদের পাঁচজন ফিরেছেন পিতৃভূমি চট্টগ্রামে। সেই লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে বীরের বেশেই তাদের ফিরে আসা বীর চট্টলায়। পাঁচ রত্নের জন্য দৈনিক আজাদী পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বর্ণিল সংবর্ধনার। আর সেই ঐতিহাসিক আয়োজনের সাক্ষী হতে হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন নগরীর জামালখান মোড়ে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে নগরীর জামালখান মোড় পরিণত হয় এক টুকরো স্টেডিয়ামে। যেন সেই গ্যালারি, সেই দর্শক, সেই উচ্ছ্বাস, সেই জয়ের উন্মাদনা। বাবার কোলে চড়ে শিশু, তরুণ-তরুণী, যুবা, বৃদ্ধ, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী- কে না ছিলেন সেখানে!
খোলা জিপে শহর প্রদক্ষিণ করে বিকেল ৪টায় নগরীর জামালখানের নির্ধারিত মঞ্চে হাজারো মানুষের হর্ষধ্বনিতে একে একে হাজির হন রাঙামাটির রুপনা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা, খাগড়াছড়ির জমজ বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী এবং মনিকা চাকমা। জিপের আগে অর্ধশতাধিক মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা। ‘আঁরার মাইয়া, আঁরার গর্ব’ এই স্লোগানে বিজয়ীদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, আজাদীর প্রধান প্রতিবেদক হাসান আকবর ও চসিক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।
সাফজয়ী মেয়েদের মনোবলের প্রশংসা করে নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘যে প্রতিনিয়ত বিজয়ী হয় সে যোদ্ধা না, যোদ্ধা সেই যে জয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। আজ আমার নিজেকেই বিজয়ী মনে হচ্ছে।’
সাফজয়ী বীরকন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামের মেয়ে, গর্বিত চট্টগ্রামবাসী হয়ে। অনেকদিন পর চট্টগ্রামে আসতে পেরে আমি ধন্য। ভক্তরা এখন যেভাবে আমাদের পাশে আছে, ভবিষ্যতেও এভাবে পাশে থাকলে আমরা আরও ভালকিছু করতে পারবো।’
সংবর্ধনায় বক্তারা বলেন, ‘তাদের যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। দুর্গম পাহাড়ে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করা এই মেয়েরা বিশ্বের বাঘা বাঘা দলকে হারিয়ে মুকুট ছিনিয়ে এনেছেন। নিশ্চয়ই তাদের দেখে হারিয়ে যাওয়া ফুটবল ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। এখনকার শিশুরা ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলও চর্চা করবে।’
পরে উত্তরীয় আর ফুলের মালা পরিয়ে খেলোয়াড়দের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
ছবি তুলেছেন: শ্যামল নন্দী, স্টাফ ফটোকরেসপন্ডেন্ট
সারাবাংলা/আরডি/একে