কুর্দিদের উপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইরান, নিহত ৭
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:২১
ঢাকা: ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সীমান্ত পার হয়ে চালানো ওই ইরানি হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং ২৮ জন আহত হয়েছেন। ইরানে চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভ দমনে এমন হামলা চালিয়েছে বিপ্লবী গার্ড— কুর্দি সংগঠনের তরফ থেকে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
ইরাকে কুর্দিস্তান অঞ্চলের রাজধানী আরবিলের আঞ্চলিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বিমান হামলায় কয়সিনজাক অঞ্চলে চারজন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া শেরাওয়াতে তিনজন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন।
ইরানের কুর্দিশ ডেমোক্রেটিক পার্টি (কেডিপিআই) টুইট বার্তায় বলেছে, “এই কাপুরুষোচিত হামলাগুলো এমন এক সময়ে ঘটছে যখন ইরানের ‘সন্ত্রাসী’ সরকার চলমান বিক্ষোভ দমন করতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং কুর্দি ও ইরানের জনগণের প্রতিরোধ ঠেকাতে পারছে না।”
কেডিপিআই বলেছে, বুধবারে বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল আরবিলের পূর্বে কয়সিনজাতে তাদের ঘাঁটি ও সদর দফতর। এসব স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান।
এদিকে তেহরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, বিপ্লবী গার্ডরা উত্তর ইরাকে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদর দফতর ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করে ধ্বংস করেছে।
চলতি মাসে ইরানে মাআশা আমিনি নামের এক তরুণীকে ‘সঠিকভাবে হিজাব না পরার’ অভিযোগে আটক করে দেশটির নীতি পুলিশ। পুলিশের হেফাজতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। মাআশা আমিনির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ—নীতি পুলিশের মারধরে মৃত্যু হয়েছে তার। যদিও পুলিশের দাবি— হার্ট এটাকে মৃত্যু হয়েছে মাআশা আমিনির।
মাআশা আমিনি ইরানের কুর্দিস্তানের বাসিন্দা। তার দাফনের দিন ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশে প্রতিবাদ দানা বাধে। পরে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ প্রায় সবকটি শহরে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমনে কঠোর হয়েছে সরকার। কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব বিক্ষোভ ইরাকে অবস্থানরত কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইরানে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
সারাবাংলা/আইই