হাজারীবাগে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে আল্টিমেটাম নানকের
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২৭
ঢাকা: হাজারীবাগে বিএনপির কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, আমি পরিষ্কার বলতে চাই, যারা এই ঘটনায় জড়িত, তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হাজারীবাগে বিএনপির হামলায় গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিতে সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানসহ স্থানীয় নেতারা।
বিএনপির নেতাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বিএনপি’র অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করছে। তাই ওদের আর সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। হাজারীবাগে তারা আন্দোলনের নামে আওয়ামী লীগের নেতা শাহ আলমকে র্নিমমভাবে অত্যাচার করেছে। সাংবাদিক এবং নারীরাও রক্ষা পায়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা মিছিলের নামে জনগণের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। ওদেরকে প্রতিহত করার এখনই সময়।’
সাবেক মন্ত্রী নানক বলেন, ‘বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা আগেও আগুন-সন্ত্রাস করেছে। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। জানমাল ধ্বংস করেছে। বিএনপি আবার আগুন-সন্ত্রাস করতে মাঠে নেমেছে। ওরা গণতন্ত্র বিশ্বাস করতে চায় না। ওরা গণতন্ত্র জানে না। তাই ওদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘কেউ বিএনপির সন্ত্রাসীর কর্মকাণ্ড হাতে হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং সাধারণ মানুষদের ওপর অত্যাচার করেছে। এরা হত্যাকারী দল। দেশে শান্তির লক্ষ্যে এই সন্ত্রাসী দলকে অবশ্যই আমরা মোকাবিলা করব।’
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সিকদার মেডিকেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং চিকিৎসাধীন নেতাকর্মীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে গুরুতর অসুস্থ শাহ আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হাজারীবাগে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলাম ও আইরীনসহ কয়েকজন।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম