‘মণ্ডপে পুলিশ দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা রোধ করা যাবে না’
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো : পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে সাম্প্রদায়িকতা রোধ করা যাবে না বলে মনে করছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতারা। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার বাস্তবায়ন চেয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ বক্তব্য এসেছে। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব।
সংগঠনের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মণ্ডপে মণ্ডপে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ত করা যাবে, কিন্তু সেটাকে উদযাপন বলা যাবে না। উদযাপন করতে হয় ভয়হীন আনন্দমুখর পরিবেশে। পুলিশ দিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে সাম্প্রদায়িক ঘটনাও রোধ করা যাবে না। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল শক্তি নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। আমরা বলতে চাই, ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- চট্টগ্রাম জেলায় এবার ২০৬২ পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে, যার মধ্যে ১৫৫৭ প্রতিমা পূজা।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু শিক্ষকদের হয়রানি ও লাঞ্ছনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এ সময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি দিলীপ কুমার মজুমদার, নারায়ণ কান্তি চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ, চন্দন বিশ্বাস, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী, সহ-সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ বৈষ্ণব, বিপুল কান্তি দত্ত, দোলন মজুমদার, কল্লোল সেন, রিমন মুহুরী, সাগর মিত্র, বিকাশ মজুমদার, বিমল চন্দ্র নাথ, বিধান রক্ষিত, নিউটন সরকার, দীপক তালুকদার, সুভাষ চৌধুরী, নিপু মালাকার, শাবলু মিত্র, অমিতাভ দাশ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে