জয়পুরহাটে এসে বিয়ে করলেন শ্রীলঙ্কান যুবক
১ অক্টোবর ২০২২ ১৫:২৫
জয়পুরহাট: প্রেম মানে না কোনো বাধা। প্রেমের টানে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে প্রায়ই বাংলাদেশে ছুটে আসছেন ভিনদেশি তরুণ-তরুণীরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশে এসেছেন শ্রীলঙ্কান নাগরিক।
জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের শাহাদুল ইসলামের মেয়ে রাহেনা বেগম (৩২)। ২০১৪ সালে গার্মেন্টসে চাকরির উদ্দেশ্যে জর্ডানে পাড়ি জমান। পরে তিনি একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরিতে যোগ দেন। একই কোম্পানির সুপাইভাইজার শ্রীলঙ্কান যুবক রোশান মিঠুনের (৩৩) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে তাদের প্রেম।
রাহেনা বলেন, ‘পারিবারিক ভাবে অল্প বয়সে বিয়ে হয়। আমার একটি সন্তানও রয়েছে। জর্ডানে যাওয়ার কিছুদিন পর আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দেন। পরে জর্ডানে আমার কোম্পানির সুপাইভাজার রোশানের সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আমাদের প্রেম হয়। দেড় বছর আগে নিজ দেশ শ্রীলংকায় ফিরে যান রোশান। এরপর একে অপরকে বিয়ে করতে সম্মত হন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সেটা আর সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমি দেশে চলে আসি।’
রাহেনা আরও বলেন, ‘২২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশে আসেন রোশান। দুই পরিবারের সবার সম্মতিতে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অ্যাফিডেভিট করে আমরা বিয়ে করি।’
রোশান মিঠুন বাংলাতে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি এখানে এসে বিয়ে করেছি। এখানেই থাকতে চাই।’
উত্তর পাথুরিয়া গ্রামের প্রতিবেশী ইনু আরা বেগম বলেন, ‘শ্রীলঙ্কান যুবক হলেও আমাদের দেশের ছেলেদের মতো মনে হয়েছে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি শ্রীলঙ্কান। আমরা প্রতিবেশী হিসেবে খুব খুশি।’
রাহেনার বাবা শাহাদুল ইসলাম বলেন, ‘রাহেনা জর্ডানে থাকাকালীন রোশানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমার মেয়ে আমাকে বিষয়টি জানায় পরে রোশানের পরিবারের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলি। তাদের কথা অনেক ভালো লেগেছে। এক পর্যায়ে ছেলেটিকে আমি বাংলাদেশে আসতে বলি। এরপর তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।’
প্রতিবেশী শাহাজান আলী জানান, প্রথমে একটু শুনে অবাক হলাম। জয়পুরহাটে আমাদের এই গ্রামে এসে শ্রীলঙ্কান যুবক যুবক রাহেনাকে বিয়ে করেছেন। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী হক।
সারাবাংলা/ইআ