ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৫৬১ কোটি টাকা
১ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৩৯
ঢাকা: মন্দা পুঁজিবাজারে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে (২৫-২৯ সেপ্টেম্বর) গড় লেনদেন কমেছে ৫৬১ কোটি টাকা। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে সাত হাজার ৩০৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনা বেচা হয়েছে। এই সময়ে পাঁচ কর্মদিবসে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে (১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর) ডিএসইতে লেনদেন হয় ১০ হাজার ১১০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এই সময়ে গড় লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ২২ কোটি টাকা। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৫৬১ কোটি টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমার পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দাম। সে সঙ্গে কমেছে সব সূচক এবং বাজার মূলধন। বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় পাঁচ লাখ ১৯ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২ পয়েন্টে নেমে আছে। এই সময় ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৫ কমে যথাক্রমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে নেমে আসে। বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিন সূচক কমেছে, বাকি দুইদিন সূচক বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে মোট ৩৮৬টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ১৭৩টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ১৫২টির শেয়ার ও ইউনিট দাম। বাকি ১০ টি কোম্পানির কোন শেয়ার লেনদেন হয়নি।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৮৬ কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিলেও হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানিকে ঘিরে বেশির ভাগ লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাত হাজার ৩০৬ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে মাত্র ১০টি কোম্পানিকে ঘিরে।
উল্লেখিত ১০ কোম্পানির মধ্যে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির চার কোটি ৭৪ লাখ ৯৭ হাজার ২৩১টি শেয়ার হাত বদলের মাধ্যমে ৬৬১ কোটি ২৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা মোট লেনদেনের ৯ শতাংশ। এছাড়াও বেক্সিমকোতে ৮ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ে ৩.৮৮ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে ৩.৫৬ শতাংশ, জেএমআই হসপিটালে ৩.৫ শতাংশ, ইউনিক হোটেলে ৩.১০, বিডিকম অনলাইনে ২.৮৬, শাইনপুকুর সিরামিকসে ২.৬৮, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসে ২.১১ ও সাইফ পাওয়ারটেকে ১.৮৯ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ