জনশুমারির পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু ১০ অক্টোবর
৩ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৫২
ঢাকা: জনশুমারি প্রকল্পের তৃতীয় পক্ষের তদারকি শুরু হচ্ছে ১০ অক্টোবর। দেশের ৩৫৪টি নমুমা এলাকায় নতুন করে তথ্য সংগ্রহ শুরু করা হবে। আগামী ৯ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
সোমবার (৩ অক্টোবর) এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর আগরগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সন্মেলন কক্ষে এক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদশ পরিসংখ্যান ব্যুরো করা শুমারির পিইসি (শুমারি পরবর্তী গণণা) কার্যক্রম পরিচালনা করবে বিআইডিএস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম,এ.মান্নান, গেস্ট অব অনার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম, বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
তথ্যানুসারে, ট্যাবের মাধ্যমে কম্পিউটার এ্যাসিসটেড পারসোন্যাল ইন্টারভিউয়িং (সিএপিআই) পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ৯ অক্টোবর রাত ১২ টা ১মিনিটে নির্ধিারিত এলাকায় অবস্থান করা সব দেশি-বিদেশি নাগরিককে গণনার আওতায় আনা হবে। এছাড়া ছয় মাসের কম সময়ের জন্য সাময়িকভাবে বিদেশে অবস্থান করা নিদিষ্ট এলাকার সব বাংলাদেশি নাগরিকদের পুনরায় গণনা করা হবে। এরপর নতুন তথ্যের সঙ্গে আগে পাওয়া শুমারির তথ্য মিলিয়ে দেখে বলা যাবে শুমারিতে কতটা ভুল ক্রুটি হয়েছে। তারপরওই তথ্য সমন্বয় করে জনশুমারির মূল প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম, এ, মান্নান বলেন, ‘একটি সুখবর আছে। মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়ার লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি তথ্য প্রকাশ করা হবে। আগস্টে মূল্যষ্ফীতি বেড়েছিল। কিন্তু সেপ্তেম্বরে সেটি কমেছে। এর কারণ হচ্ছে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে চার কোটি লোক সুবিধা পাচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে যারা সরাসরি মূল্যস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তারা উপকৃত হচ্ছে। এ কারণে মূল্যষ্ফীতিতে লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। আমরা তথ্যে কনো ইঞ্জিনিয়ারিং করবো না। শুধু প্রক্রিয়াগত কারণে এটি দেরি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের টাকা ব্যয় করে এই শুমারি করা হয়েছে। এখন পিইসিও করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যাতে বড় অংকের এই টাকার সঠিক ব্যবহার হয়। এই টাকা খরচের দায়িত্ব যেমন বিরল সন্মানের তেমনি গুরুত্বপূর্ণও। আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করুণ। আমি বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ হিসেবে বলছি। কাজের ক্ষেত্রে কোন সম্যস্যা নেই। আমি কোন দলের প্রতি নয় দেশের প্রতি অনুগত থেকে কাজ করছি।’
ড.শামসুল আলম বলেন, ‘নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বিবিএস একটি ভালো শুমারি করেছে। এখন সেটির পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিবিএসকে আরও একটু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। ভারতে পরিসংখ্যান সংস্থান যেভাবে স্বাধীনতা ভোগ করে বাংলাদেশে সেটি হচ্ছে না। পরিসংখ্যান ব্যুরোকে আরও হালনাগাদ তথ্য দিতে হবে।
মামুন-আল-রশীদ বলেন, ‘পিইসি কমিটি যে এটা স্বাধীনভাবে করবে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এরইমধ্যেই তারা কাজের শুরুতেই মানসিক ও নৈতিক দিকটি নিশ্চিত করেছে। ফলে এটা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে ভাল পিইসি হবে। তথ্য যদি সঠিক না হয় তাহলে পরিকল্পনাও সঠিক হবে না। এ বিষয়টি সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’
ড.শাহনাজ আরেফিন বলেন, ‘ সংখ্যাতত্ত্ব হচ্ছে টেবিলের পায়ের মতো। যার মাধ্যমে টেবিলটি দাঁড়িয়ে থাকে। তেমনি সঠিক পরিসংখ্যান না হলে কোন পরিকল্পনাই সঠিক হবে না। ইউএন গাইড লাইন অনুসরণ করেই আমরা জনশুমারি করেছি। আশা করছি পিইসির মাধ্যম বাকি যদি ভুল ক্রটি থাকে তাহলে উঠে আসবে। এর মাধ্যমে বিবিএস বলে দেবে কতটা পরিশুদ্ধ হয়েছে জনশুমারির কার্যক্রম।
সারাবাংলা/জেজে/ইআ