দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে ১৭৩
৩ অক্টোবর ২০২২ ১৮:২৫
ঢাকা: সবুজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) তালিকায় দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষে বাংলাদেশ। সম্প্রতি দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা আরও বেড়েছে। নতুন করে তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও দু’টি কারখানা। এ নিয়ে বাংলাদেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৩টি। এ ছাড়া ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরির রেজিস্ট্রেশন পেতে পাইপলাইনে রয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সার্টিফিকেশন দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, বাংলাদেশে এখন গ্রিন ফ্যাক্টরি ১৭৩টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৫৪টি, গোল্ড ১০৫টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি।
নতুন করে গ্রিন ফ্যাক্টরির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গাজীপুরের আমান টেক্স লিমিটেড ও ঢাকার আয়েশা ফ্যাশন লিমিটেড। এর আগে গেল সেপ্টেম্বরে যুক্ত হয়েছিল নরসিংদীর শারাফ অ্যাপারেলস ওয়াশিং অ্যান্ড ডায়িং, আশুলিয়ার দেবনাইর লিমিটেড অ্যান্ড অরবিটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ অ্যাপারেলস।
গেল সেস্টেম্বরে সবুজ কারখানার সার্টিফিকেট পেয়েছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ অ্যাপারেলস। এই ফ্যাক্টরির মালিক বিকেএমএই’র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সবুজ কারখানার ফলে দেশের ইমেজ ভালো হচ্ছে। পরিবেশের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, সবুজ কারখানার কারণে সেই ক্ষতি কমছে। তবে সবুজ কারখানা করতে খরচ বেশি হচ্ছে। আমরা যে বিনিয়োগ করছি ক্রেতাদের কাছ থেকে সেই অনুযায়ী পণ্যের দাম পাচ্ছি না। ক্রেতাদের এ বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত।’
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রিন ফ্যাক্টরিতে বাংলাদেশ শীর্ষে। এই তালিকায় নতুন করে দুটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এক সময় মালিকরা চিন্তা করতেন এত টাকা খরচ করে কেন এলইইডি (লিড) সার্টিফিকেট নেব? এতে খরচ বেশি। কিন্তু সাসটেইনেবল হতে গেলে এর বিকল্প নেই। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা ও প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে লিড সার্টিফিকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাইরের ক্রেতারা জানতে চায়, তাদের কাপড়টি কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে তৈরি হয়েছে, কোন পরিবেশে তৈরি হয়েছে, ক্ষতিকর কেমিক্যাল আছে কি নাই। এক্ষেত্রে লিড সার্টিফিকেটের বিকল্প নেই। এটি দেশের পোশাক খাতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।’
বিজিএমইএ’র এই নেতা বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি এখন সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমাদের রফতানি আয় কমে যাচ্ছে। এর মধ্যেও আমরা সাসটেইনেবিলিটির দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ক্রেতারা এতে আরও বেশি আকৃষ্ট হবে।’
উল্লেখ্য, সবুজ কারখানার তালিকায় বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম