Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চবিতে ছাত্রী নিপীড়ন: জামিন চেয়ে বিফল আরেক আসামি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ অক্টোবর ২০২২ ২২:২৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের পর আপত্তিকর ভিডিও ধারণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন আরও এক আসামি। এর আগে নূর হোসেন শাওন নামে এক আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়।

সোমবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঁঞার আদালতে আসামি সাইফুল ইসলাম রাব্বির পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়।

জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আসামি ঘটনার পর গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে। কারাগারে টিআই প্যারেডে (শনাক্তকরণ মহড়া) ভিকটিম ছাত্রী তাকে শনাক্ত করেছেন। তদন্তাধীন মামলা, অপরাধের গুরুত্ব এবং সামাজিক বাস্তবতা বিবেচনায় আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন।’

এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর আসামি নূর হোসেন শাওনের জামিন আবেদন নাকচ করে ক্যাম্পাসে সকল ছাত্রছাত্রীর অবাধ বিচরণের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য প্রক্টরিয়াল বডিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন আদালত। একইসঙ্গে যৌন নিপীড়নের পর ধারণ করা আপত্তিকর ভিডিও যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গত ১৭ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নের শিকার হন। মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন যুবক ছাত্রীর সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকে আটকে রেখে তাকে যৌন নিপীড়নের পর বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় ২০ জুলাই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন।

ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। এ ঘটনায় র‌্যাব মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার পাঁচজন হলো- মো. আজিম (২৩), নুর হোসেন শাওন (২২), নুরুল আবছার বাবু (২২), মাসুদ রানা (২২) এবং মো. সাইফুল ইসলা রাব্বি (২৩)।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, আজিম ঘটনার মূল নেতৃত্বদাতা এবং চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী। আজিম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ও নুরুল আবছার বাবু নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। নুর হোসেন শাওন হাটহাজারী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষ ও মাসুদ একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সাইফুল পড়ালেখা করে না।

আজিমের বাবা আমির হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কর্মচারী। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। বাকি চারজনের বাবাও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মচারী এবং ক্যাম্পাসে পরিবার নিয়ে থাকেন।

গ্রেফতারের পর আজিম ও বাবুকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিপীড়ন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর