ঢাকা: কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তাদের হীনস্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে যেন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বঙ্গভবনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটির কোনো স্থান নেই।’
এ সময় দেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় সম্মিলিতভাবে সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দেন রাষ্ট্র প্রধান।
বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দুর্গাপূজায় আমরা অবশ্যই আনন্দ উৎসব করব। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন তারাও যেন এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।’
রাষ্ট্রপতি গত ২৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে ৭০ জন পুণ্যার্থীর অকাল প্রয়াণে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এ ঘটনায় আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি।
সারাবিশ্বে বিরাজমান করোনার ছোবল ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিশ্ববাসী চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত মন্দার ধাক্কা লাগছে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে উত্তরণে পরমত সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস আর সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।’
অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী হরিপ্রেমানন্দ মহারাজ, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ বক্তব্য দেন। খবর: বাসস।