Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অধ্যাপক তাহের খুন: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ অক্টোবর ২০২২ ১৪:২৮

ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকরে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

আসামিরা হলেন- রাবি ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বিজ্ঞাপন

আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) এ আদেশ দেন। তবে আজ (৬ অক্টোবর) এই আদেশের বিষয়টি জানা গেছে।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাহের হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ রায় প্রদানকারী ছয় বিচারপতি স্বাক্ষরের পর গত ৫ অক্টোবর ৬৮ পৃষ্ঠার ওই রায় প্রকাশ করা হয়।

পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রিভিউ আবেদন করেন।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় রাবির একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।

ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। তাদের সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

আসামি পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান ও ইমরান সিদ্দিকী। আর অধ্যাপক তাহেরের পরিবারের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়।

২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

সেই মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২ জনকে খালাস দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ২ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অন্য ২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

এরপর হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। অন্যদিকে সাজা কমিয়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল এবং দুই আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রেখে রায় দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

অধ্যাপক তাহের রায়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর