‘বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ফি নির্ধারণ হবে’
৬ অক্টোবর ২০২২ ২৩:২৬
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের বেসরকারি মেডিকেল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর একেকটির জন্য একেক রকম ফি থাকায় দেশের মানুষের চিকিৎসার ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। এটি চলতে পারে না। আমরা আগেও বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ করা নিয়ে সভা করেছি। এবার আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটেগরাইজড করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেখা গেছে এক হাসপাতালে ফি ১০ হাজার টাকা হলে, অন্য হাসপাতালে বিল ওঠে ৫০ হাজার টাকা বা ১ লাখ টাকা। এতে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটি চলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বেসরকারি হাসপাতালের ফি নির্ধারণ করা নিয়ে সভা করেছি। এবার আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্যাটেগরাইজড করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিচ্ছি। মান অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলো এ, বি, সি, ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হবে। যে হাসপাতালের যে সক্ষমতা আছে সেই সক্ষমতার বাইরে ওই হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে হাসপাতালের সিজার করার বা হার্টের চিকিৎসা করার যন্ত্রপাতি নাই সে হাসপাতাল ওই চিকিৎসা দেওয়া মানেই রোগীর জীবন সংকটাপন্ন করা। এজন্যই হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা সেবার মান অনুযায়ী শ্রেণিভুক্তকরণসহ সঠিক ফি নির্ধারণ করে দিতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।’
অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে যেগুলো অবৈধ, নিবন্ধিত নয়। তাদের কাছে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। এরইমধ্যে অসংখ্য ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছি। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’
করোনা নিয়ন্ত্রণের বাংলাদেশ পৃথিবীতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা করোনার প্রায় তিন বছর কাটিয়েছি। এই পুরো সময়টাই করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ভালো করেছি এবং করোনা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা পৃথিবীতে প্রথম স্থান, এশিয়াতে প্রথম স্থান অধিকার করেছি।’
বাংলাদেশ ভ্যাকসিনেশনেও অত্যন্ত ভাল করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এ পর্যন্ত আমরা ৩১ কোটি ভ্যাকসিন দিয়েছি। এই চলমান ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনে প্রায় সোয়া কোটি ভ্যাকসিন দিয়েছি। আশা করি আগামী তিন দিনে দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমরা দিতে পারব। এটাই কোনো ক্যাম্পেইনে সর্বোচ্চ ভ্যাকসিনেশন।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি আমাদের কোনো ভ্যাকসিন এক্সপায়ার্ড (মেয়াদোত্তীর্ণ) হবে না। যদিও এটি নিয়ে আমাদের আশঙ্কা ছিল, মানুষ স্বপ্রণোদিত হয়ে ভ্যাকসিন নিতে আশায় সেই আশঙ্কা থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি ও অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এসবি/একে