মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শাওনের মৃত্যুতে বিএনপির মামলা
৭ অক্টোবর ২০২২ ০৯:১৭
মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম শাওন নিহতের ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুনানির জন্য মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১০ অক্টোবর নির্ধারণ করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত নং-১ এ কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অফিসের মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে ৩৫৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার মামলাটি আগামী ১০ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার ইমরান হালদার। মামলার বাদি সালাউদ্দিন খান কেন্দ্রীয় কৃষক দলেরও সদস্য।
মামলায় মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেবসহ ৯ জন পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে ৪০/৫০ জন অজ্ঞাত পুলিশ সদস্য ও আরও ২০০ হতে ৩০০ জন সিভিল পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারী উল্লেখ করে মোট ৩৫৯ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজহারভুক্ত আসামি পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সুমন দেব, মুন্সীগঞ্জ সদর থানা ওসি তরিকুজ্জামান, সদর থানা এসআই মো. ফরিদ উদ্দিন, মো. আরিফুর রহমান, সুকান্ত বাউল, এএসআই নকুল চদ্র ধর, অজিত চদ্র বিশ্বাস ও মটু বৈদ্য।
বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে শাওন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আদালতে অভিযোগ দাখিল করেছি। আদালত জানিয়েছে পরে মামলার আদেশ দেবেন।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ, তেল-গ্যাস, অকটেন ডিজেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা করে। পুলিশ শাওনের কপালের ডান দিকে গুলি করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাওন মারা যায়। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও গুলির বিষয়টি উল্লেখ করেছে।
মামলার বাদী সালাউদ্দিন খান বলেন, ‘অভিযাগ দাখিল করেছি। আদালতের আদেশের অপেক্ষায় আছি।’
শাওনর পরিবার থেকে বাদী কেন হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে তিনি মামলার বাদী হয়েছেন। নিহতের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। এজন্য তারা এখন মামলার বাদী হননি। তবে পরবর্তীতে তারা এ মামলার সঙ্গে সংযুক্ত হবেন।’
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও দলীয় নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে গত ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা তিনটার দিক বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখান বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে শহিদুল ইসলাম শাওন ও বিএনপির সমর্থক জাহাঙ্গীর মাদবর (৩৮) গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে শাওনের মৃত্যু হয়।
সারাবাংলা/এমও