Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান শুরু, শূন্য মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৮ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৩০

ভোলা: ইলিশের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের প্রথম দিনে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে কোনো জেলে নৌকা দেখা যায়নি। শুক্রবার সকাল থেকেই ভোলার বিভিন্ন মাছঘাটগুলোতে সুনসান নিরবতা। মাছের আড়ৎগুলোও ছিল বন্ধ। একদিন আগেও জেলে ও পাইকারদের হাঁকডাকে মুখরিত ছিল।

শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে ভোলার মেঘনা নদীর নাছির মাঝি, ভোলার খাল, কোড়ারহাট, স্লুইজগেট, তুলাতুলি, ইলিশা মাছ ঘাটসহ বিভিন্ন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে কোনো জেলে নৌকা নেই। জেলেরা ঘাটে বসে জাল ও নৌকা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কেউ ঘাটে অলস সময় পার করছেন।

বিজ্ঞাপন

মো. ইসমাইল, নোমান লিটন মাঝি, নাসিম মাঝিসহ ১০-১৫জন জেলে জানান, সরকার ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তারা মাছ ধরার ট্রলার থেকে জাল ও অন্যান্য সরঞ্জাম তীরে তুলে রেখেছেন। এখন নষ্ট জাল মেরামত করে তাদের দিন কাটছে। সরকারের নিষেধজ্ঞা মেনে তারা নদীতে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। কিন্তু বরাদ্দকৃত সরকারি ভিজিএফ চাল সঠিকভাবে পাওয়া নিয়ে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান বাস্তবায়নে প্রতিটি উপজেলায় পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে তিন থেকে চারটি করে টিম নদীতে কাজ করছে। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলার মাছঘাটগুলোতে তদারকির জন্য আলাদা সাতটি টিম গঠন করা হয়েছে। যাতে করে কোনো জেলে নৌকা বা ট্রলার নদীতে মাছ শিকারে যেতে না পারে।

মৎস্য কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ভোলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লাখ ৫৭ হাজার। এর মধ্যে এক লাখ ৩২ হাজার জেলের জন্য ২২দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জেলেদের কাছে বরাদ্দ করা চাল পৌঁছানো হবে।

বিজ্ঞাপন

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ জানান, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের প্রথম দিনে ভোলায় কোনো জেলে আটক হয়নি। নদীও ছিল জেলে শূন্য। এ অভিযান শতভাগ বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের কাছ থেকে এনজিও ও ব্যাংকের ঋণের কিস্তি যাতে না নেওয়া হয় সে জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এনজিও এবং ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে মাছের উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গতকাল ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২দিন ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরণের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসময়ে নদীতে কোনো মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন আইনত দণ্ডনীয়। এ আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

সারাবাংলা/এমও

ইলিশ ইলিশ রক্ষা অভিযান মা ইলিশ রক্ষা মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর