Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্মৃতির কথামালায় ১৬ সাংবাদিককে স্মরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ অক্টোবর ২০২২ ১৬:১৯

ঢাকা: গত এক বছরে প্রয়াত ১৬ সাংবাদিককে স্মরণ করল জাতীয় প্রেস ক্লাব। শনিবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রয়াত সাংবাদিকের সম্পর্কে স্মৃতিচারণামূলক বক্তৃতা করেন সাংবাদিক ও প্রয়াত ব্যক্তিদের পরিবার সদস্যরা।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘তারা (প্রয়াত সাংবাদিকরা) প্রত্যেকে তাদের কর্মের কারণে সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাদের চলে যাওয়ায় সাংবাদিকতার জগৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জাতীয় প্রেস ক্লাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, ‘জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর লগ্নে আমাদের যে সাথীরা এখন অবর্তমানে, আমরা মনে করি, তাদের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা, আদর্শ ও অবদান আমাদের সঙ্গে সব সময় রয়েছে। সেই উজ্জ্বল স্মৃতির পাথেয় সম্বল করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, ‘সদ্য প্রয়াত তোয়াব খান সাংবাদিকতায় নতুন পথনকশা তৈরি করেছিলেন।’

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এক একটা মানুষ থাকেন, যাদের জীবনযাপনই ক্রমে একটা আদর্শে পরিণত হয়। এক একজন থাকেন যারা এমনভাবে বাঁচেন যে ব্যক্তিকে অতিক্রম করে তাদের সেই বাঁচা একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়। এমনই একজন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তোয়াব খানের অবদান সবসময় থেকে যাবে। তিনি অনুসরণযোগ্য ছিলেন। আর বর্তমান সময়ে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মতো সাংবাদিক নেতার বড় প্রয়োজন ছিল।’

তোয়াব খানের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ওয়ায়দুল কবির বলেন, ‘আদর্শ মানুষ, আদর্শ সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী বলতে যা বোঝায়, তা–ই ছিলেন তোয়াব খান।’

স্মৃতিসভায় প্রয়াত সাংবাদিক সাগর বিশ্বাসের স্ত্রী প্রতিমাময়ী বিশ্বাস, পীর হাবিবুর রহমানের পুত্র ফাহিম অন্তর, রাজা সিরাজের পুত্র সোহাগ আহমেদসহ কয়েকজন প্রয়াত সাংবাদিকের স্বজন স্মৃতিচারণা করেন ও দোয়া চেয়ে বক্তব্য দেন।

দৈনিক বাংলার প্রয়াত সম্পাদক তোয়াব খান সম্পর্কে বলতে গিয়ে দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শরিফুজ্জামান বলেন, ‘তোয়াব খান ছিলেন সম্পাদকদেরও সম্পাদক।’

স্মৃতিসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি এম শফিকুল করিম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক আবু তাহের, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, আশরাফ আলী, সদস্য আইয়ুব ভূঁইয়া প্রমুখ।

স্মরণসভার শুরুতে প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

তোয়াব খান, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও গীতিকার কে জি মোস্তফা ছাড়াও প্রয়াত এই সাংবাদিকেরা হলেন এস এম শওকত হোসেন, রাজা সিরাজ, মো. শামীম মাশরেকী, সৈয়দ আকরাম, খন্দকার আনিছুর রহমান, পীর হাবিবুর রহমান, শামসুল আলম বেলাল, সাগর বিশ্বাস, এ এম মুফাজ্জল, এইচ এম জালাল আহমেদ, আবুল বাশার নুরু, শফিকুল ইসলাম ইউনূস ও গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।

সারাবাংলা/একে

জাতীয় প্রেস ক্লাব টপ নিউজ স্মরণসভা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভূতের গলির বাসায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০

সম্পর্কিত খবর