দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত আদিবাসী চেয়ারম্যানের মৃত্যু
৮ অক্টোবর ২০২২ ১৮:৫৬
নেত্রকোনা: দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত জেলার দুর্গাপুরেরে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক আদিবাসী চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা (৪৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেখানেই তিনি মারা যান। সুব্রত কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামের সুধীর মানখিনের ছেলে।
সুব্রত সাংমার বড় ভাই দুর্গাপুর উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইমন তজু বলেন, ‘হামলায় আহত হয়ে আমার ভাই ৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।’
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিবিরুল ইসলাম জানান, সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবরে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। স্থানীয়রা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে দুর্গাপুর সদরের উৎরাইল বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ কারণে শিবগঞ্জ বাজারে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি জানান, হামলার ঘটনায় আগে একটি মামলা হয়েছিল। এখন সেটিই হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। সেই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছিলে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়ালকে।
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় রাশিমণি বাজার এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত সুব্রত সাংমাকে মারপিট করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসার জন্য মোটরসাইকেলে করে তাকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হচ্ছিল। পথে শিবগঞ্জের সোমেশ্বরী নদীর ঘাট এলাকায় পৌঁছলে আবারও হামলার শিকার হন সুব্রত। এ সময় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে সুব্রতকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয়রা। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হামলার ঘটনায় রাতেই দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন সুব্রত সাংমার বোন কেয়া তজু। মামলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, তার দুই ভাই শামীম মিয়া ওরফে শ্যুটার শামীম, বদিউজ্জামানসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত আরও ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
সারাবাংলা/ইআ