সেই উল্লুকের ঠাঁই হলো সাফারি পার্কে, ‘শিকারিদের’ কারাদণ্ড
৮ অক্টোবর ২০২২ ২০:২৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিক্রির উদ্দেশে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী ‘উল্লুক’ ধরে খাঁচায় ভরে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার দুজনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায় আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ উল্লাহ শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ সাজা দিয়েছেন।
দণ্ডিত দুজন হলেন মো. মুবিন (৩০) এবং মো. মাজহারুল (৩৫)। তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। তবে তারা চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারের ‘নাইস বার্ড গার্ডেন’ নামের একটি দোকানের কর্মচারী। এটি বিদেশি পাখি বিক্রির দোকান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি অভয়ারণ্যের বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মার্শা পরিবহনের একটি বাস থেকে উল্লুকসহ এই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুপুরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।
বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় পাহাড় ধরে বিপন্ন প্রজাতির এই উল্লুক ধরে রিয়াজুদ্দিন বাজারে পাখির দোকানে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানান লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
ইউএনও শরীফ উল্লাহ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারায় দুজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আসামিদের লোহাগাড়া থানায় সোপর্দ্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া উল্লুকটিকে ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য বন বিভাগের স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেনের কাছ হস্তান্তর করেন ইউএনও।
বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উল্লুকটি পুরুষ প্রজাতির। কম বয়সী প্রাণীটি পশ্চিমা উল্লুক প্রজাতির। আগে চুনতি অভয়ারণ্যে এই প্রজাতির উল্লুকের দেখা মিলত। এখন আর দেখা যায় না।
প্রাণীবিদদের মতে, দেশে উল্লুক এখন বিপন্নপ্রায় প্রাণী। বান্দরবানের আলীকদমের জঙ্গলে গাছে কিছু উল্লুকের দেখা মেলে। সিলেটের লাউয়াছড়া বনেও কিছু উল্লুক আছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) তালিকা অনুসারে উল্লুক লাল তালিকাভুক্ত বিপন্ন প্রাণী।
সারাবাংলা/আরডি/একে