ওয়াসার এমডির ১৩ বছরের হিসাব দিতেই হচ্ছে
১১ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৪৮
ঢাকা: ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান গত ১৩ বছরে কী পরিমাণ বেতন-বোনাস, টিএডিএ-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, সে তথ্য জানতে চেয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ওয়াসার বোর্ডের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন এ আদেশ দেন।
আদালতে ওয়াসা বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এএম মাসুম। ক্যাবের পক্ষে আদালতের অনুমতি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে (ইন পারসন) শুনানি করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্টে শুনানি করা এই মামলার আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
গত জুলাই মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার ও সার্ভিস (বেতন ও সুবিধাদি) আদেশ লঙ্ঘন করে ওয়াসার এমডিকে অযৌক্তিক ও উচ্চ বেতন দেওয়ার অভিযোগ এনে তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিট করেছিলেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৭ আগস্ট বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি গত ১৩ বছরে ওয়াসার এমডিকে কী পরিমাণ বেতন-বোনাস, টিএডিএসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানকে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
তাকসিম ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা পান।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ