কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
১১ অক্টোবর ২০২২ ১৬:০৯
ঢাকা: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নীতিমালাগত সহায়তার পাশাপাশি পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অহেতুক যেন কেউ দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে।’
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির একনেক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব মামুন আল রশীদ, আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এম এ মান্নান জানান, বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের সবাইকে সঞ্চয়ের মনোভাব তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘খাদ্যশস্য, অর্থ, বিদ্যুৎ ও পানি সব ক্ষেত্রেই সঞ্চয় করতে হবে। সেই সঙ্গে অপচয় রোধ করতে হবে।’ এসময় খাদ্যের অভাব পূরণে উৎপাদন বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমোদন পাওয়া একটি প্রকল্পে সরকারি অংশের অর্থ বেশি পরিমাণে চেয়েছেন দক্ষিণ সিটির মেয়র। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেটি না দিয়ে বলেছেন, প্রকল্পের কাজে গতি বাড়াতে হবে। লোকজনকে বুঝিয়ে ভালো কাজ করে টাকা সাশ্রয় করতে হবে।
চলতি অর্থবছরের তিন মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৯.৪৩ শতাংশ। এসময় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করতে পেরেছে ২৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। গত অর্থবছর একইসময়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ৮.২৬ শতাংশ। ওই সময় ১৯ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল বলেও জানান মন্ত্রী।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে একনেকে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমরা শংকার মধ্যে আছি। কিন্তু এখনও আমাদের অর্থনৈতিক সূচকগুলো ভালো অবস্থানে আছে। গত তিন মাসে দেশে রেমিটেন্স গত অর্থবছরের তিন মাসের তুলনায় বেশি এসেছে। এছাড়া রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৩৮ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে ছিল ১১ শতাংশ।’
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমদানি কমে হয়েছে ১৬.৯২ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরে আমদানি বেড়েছিল ৪৫ শতাংশ সরকারি বিদেশি বিনিয়োগ গত ৩ মাসে বেড়ে হয়েছে ৩.৬৩ শতাংশ, গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২.৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি পরিকল্পনা মতো মুদ্রা সরবরাহ কমে হয়েছে ৮.১ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১.৬ শতাংশ। বেসরকারি ঋণ প্রবাহ বেড়ে হয়েছে ১৪ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের ৩ মাসে ছিল ৮ শতাংশ। পরিকল্পনা মতো গত ৩ মাসে সরকারি ঋণ প্রবাহ কমে হয়েছে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর একইসময়ে ছিল ৫ হাজার ১০৮ কোটি টাকা।
সারাবাংলা/জেজে/এমও