গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ৪ ফাঁসির আসামি হাইকোর্টে খালাস
১১ অক্টোবর ২০২২ ১৭:২২
ঢাকা: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর বসু গ্রামের এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে চারজনকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করেননি হাইকোর্ট। ফলে বিচারিক আদালতের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন খালাস পেলেন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এ বিষয় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আবেদন) খারিজ করে ও আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে চার আসামি খালাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- কমলনগর উপজেলার চর বসু গ্রামের ছানাউল্লাহ, আন্ডার চর গ্রামের মো. রহিম, চর কালকিনি গ্রামের মো. হারুন ও একই গ্রামের আবুল কাসেম।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
পরে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা জানান, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ছাড়া মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। এ কারণে ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন করেননি হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে কমলনগর উপজেলায় একটি ঘরের দরজা ভেঙে আট-৯জন এক গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে তারা গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে কমলনগর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এরপর খুব গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম আবুল কাশেম।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল দায়ের করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ