Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পানির চাহিদা পূরণে ওয়াটার গ্রিড লাইন চালু করবে সরকার’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৫০

ঢাকা: শিল্প-কলকারখানাসহ দেশে পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণে গ্যাস-বিদ্যুতের মতো ওয়াটার গ্রিড লাইন স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করা মানুষের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে কমিউনিটি ভিত্তিক সুপেয় পানি অবকাঠামোর টেকসই শাসন: কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস মডেলের একটি কেস স্টাডি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও অনেক নতুন নতুন শিল্প-কলকারখানা হচ্ছে। যেখানে প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন হবে। পানির ভবিষ্যৎ চাহিদা মেটাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের পানি লবণাক্ত হওয়া ছাড়াও দেশের কিছু কিছু এলাকায় নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ তৈরির মাধ্যমে জোন এবং সাব-জোন করে পানি সরবরাহ করতে পারলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’

এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকার ভূ-পৃষ্ঠের পানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানির উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ওয়াটার ট্রিট প্ল্যান্ট স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে দেশের কোথাও পানির সংকট নেই।

মন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সে লক্ষ্য পূরণে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বগুণে ২০৪১ সালের আগেই দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরিত হবে।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বদরুল হাসান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সবার জন্য উন্নত এবং নিরাপদ পানীয় জলের দুর্লভতা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। অনুমান করা হয় যে, বিশ্বে দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখনো নিরাপদ পানীয় জল পায় না।

সুপেয় পানির সংকট নিরসনে কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস মডেলের রুপরেখা তুলে ধরে বদরুল হাসান বলেন, কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস মডেল হলো একটি শাসন ব্যবস্থা যেখানে পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ব্যবহারকারীদের এবং সরকারি বস্তবায়নকারী সংস্থা বা স্থানীয় এনজিওগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। কোনো পরিস্থিতিতে কমিউনিটি পানীয় জলের ব্যবস্থা টেকসই পরিচালনায় এ মডেলটি সফল হতে পারে সে বিষয়ে অন্বেষণ করাই ছিল তার গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।

ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আইনুল ইসলামের পরিচালনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, ঢাবির প্রোভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ভূতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক লিয়াকত আলী খান, ঢাকার নেদারল্যান্ড দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফকার দে জ্যাগার প্রমুখ।

সারাবাংলা/এনইউ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর