ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
১২ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৪০
ঢাকা: ২০১৮ সালের ৬ মার্চ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর অভিযোগে ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান ও রমনা মডেল থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলামসহ ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মিলনের চাচা বিএনপি নেতা বি.এম. অলি উল্যাহ এই মামলার আবেদন করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন-ঘটনাকালীন সময়ে শাহবাগ থানায় দায়িত্বরত এসআই শাহরিয়ার রেজা, অমল কৃষ্ণ, সাইদুর রহমান মুন্সি ও সুজন কুমার রায়।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মামলায় গ্রেফতার ও সাজার প্রতিবাদে জাকির হোসেন মিলন ও তার সহপাঠী আকরাম হোসেন ফরাজী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য রওনা হয়। মানববন্ধন শেষে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ মৎসভবনের কাছে পৌঁছালে মিলন, আকরামকে আসামিরাসহ আরও সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসার ও সদস্যরা মিলে আটক করে নির্যাতন করতে করতে রমনা মডেল থানায় নিয়ে যায়।
থানায় নিয়েও ওসিসহ অন্যান্যরা তাদের নির্যাতন করেন। পরে তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেও তাদের নির্যাতন করা হয়। পরে তাদের শাহবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের গ্রেফতারের খবরে বি.এম. অলি উল্যাহ প্রথমে রমনা ও পরে শাহবাগ থানায় যান।
পরবর্তীতে গত ৮ মার্চ তাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। আদালতে ডসয়ে দেখতে পান পুলিশ হেফাজতে জখম অবস্থায় মিলনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। মিলন বাদীকে জানান, পুলিশ তাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন। এরই মধ্যে পুলিশ তাকে ভ্যানে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ডিবি কার্যালয়, শাহবাগ ও রমনা মডেল থানায় খোঁজাখুজি পরেও বাদী তার সন্ধান পাননি। পরে জানতে পারেন মিলন শাহবাগ থানার হেফাজতেই আছে। বাদী আসামিদের অনুনয়-বিনয় করেও ভাতিজার সাক্ষাৎ পাননি।
গত ১১ মার্চ মৃত প্রায় অবস্থায় মিলনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। কেরানীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে মিলনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সে মৃত্যুবরণ করেন। পরে একজন ফোন দিয়ে বাদীকে মিলনের মৃত্যুর খবর জানান। পরে ঢামেকে গিয়ে দেখতে পান মিলনের মরদেহ মর্গের সামনে পড়ে আছে। মিলনের শরীরে অমানষিক নির্যাতনর চিহ্ন দেখতে পান তিনি।
সারাবাংলা/এআই/ইআ