Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশকে কেউ যেন হেয় করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৩৬

ঢাকা: সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই দেশ আমাদের, এই মাতৃভূমি আমাদের। এই মাতৃভূমিকে আমরা এমনভাবে গড়ে তুলবো বিশ্বে বাংলাদেশ কেউ যেন হেয় প্রতিপন্ন করতে না পারে। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে বিজয়ী জাতি হিসেবে চলবো।’

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড ও মেকানাইজড ইউনিটসমূহের পতাকা-উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সাভার সেনানিবাস সিএমপিসিঅ্যান্ডএস প্যারেড গ্রাউন্ড প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর সরকার গঠন করার প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার প্রচেষ্টা এটাই ছিল দেশের শান্তি ফিরে আনা, আর্থ-সামাজিক উন্নতি করা এবং সাথে সাথে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা।’

জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সাথে যুদ্ধ করব না। আমরা যুদ্ধ করতে চাই না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি জাতির পিতা দিয়ে গেছেন। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরিতা নয়; এটাই আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তাদের ভূমিকা রাখছে। জাতিসংঘের পিস কিপিংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত। আমি চাই আমাদের সেনাবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনী কখনও কোনো দিক থেকে পিছনে থাকবে না।’ আধুনিক যতরকম যুদ্ধ সরঞ্জাম আছে তার সঙ্গে পরিচিতি যাতে হয় এবং সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমানভাবে তারা যেন চলতে পারে, সেভাবেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আমরা গড়ে তুলতে চাই বলে দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘পতাকার মর্যাদা সবসময় রাখতে হবে এবং পতাকার মর্যাদা রক্ষা করা অর্থাৎ সেই সাথে সাথে দেশের মর্যাদা রক্ষা করা প্রতিটি সৈনিকের দায়িত্ব। কাজেই আমি মনে করি আমাদের দেশের সেনাবাহিনীর পদাতিক ব্রিগেডকে মেকানাইজড হিসাবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এর আজ পতাকা উত্তোলন করা হল। যেটা অনেক সম্মানের, কথাটা সবসময় মনে রাখতে হবে।’

‘জাতীয় নিরাপত্তা ও ঝুঁকি মোকাবিলায় মেকানাইজড ইউনিট সমূহের সংযোজন এটা একটা নতুন মাত্রা আমাদের জন্য যুক্ত করা হলো। যা আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই সবাই সেভাবে মর্যাদা রেখে এগিয়ে যাবেন’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ধারাবাহিক গণতন্ত্র রয়েছে বলেই আমরা সর্বক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগ দুর্যোগ সবসময় সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে থাকে এবং সকলের সম্মিলিত প্রতিষ্ঠার ফলেই যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারি বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। আমরা জানি যেকোনো দুর্যোগে মানুষকে রক্ষা করা, দুর্যোগ মোকাবিলাতেও বাংলাদেশ সিদ্ধহস্ত এবং বাংলাদেশ সেটা পারে। জাতির পিতা আমাদের যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন এবং যে পদক্ষেপগুলি তিনি নিয়েছিলেন স্বাধীনতার পর পর আমরা সেটাই অনুসরণ করে বাংলাদেশকে দুর্যোগ থেকে মোকাবিলার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

করোনা মহামারি মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে মানবসেবায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জীবন উৎসর্গ করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবতার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করা এটা একটা মহৎ কাজ এটা তারা করে গেছেন। আমাদের যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সেটা অব্যাহত থাকবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করি। ইনশাল্লাহ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। যেখানে জমি আছে সেটা চাষ করতে হবে, ফসল উৎপাদন, ফলমূল, তরিতরকারি করতে হবে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশেও একই অবস্থা। আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হবে; কিন্তু বাংলাদেশ যেন এ দুর্ভিক্ষকবলিত না হয়; তাই আমাদের নিজেদের ভূমিতে খাদ্য উৎপাদন, নিজেদের সঞ্চয় এবং কৃচ্ছ্রসাধন করে চলতে হবে।’

সারাবাংলা/এনআর/এমও

টপ নিউজ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভূতের গলির বাসায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০

সম্পর্কিত খবর