তেলের আমদানি কমাতে চাই: কৃষিমন্ত্রী
১৩ অক্টোবর ২০২২ ১৫:০৩
ঢাকা: ভোজ্যতেলের আমদানি ৫০ ভাগে নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, ভোজ্যতেলের ৯০ ভাগই বর্তমানে আমদানি করতে হয়। আমরা সেটা কমিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ভাগে নামিয়ে আনতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘বিদ্যমনা শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভূক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যে দেশের রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার, সে দেশকেই ভোজ্যতেল আমদানিতে দুই বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে। এটি বিষ্ময়কর। ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে গেলে রাজনীতিতেও সেটা প্রভাব ফেলে। আগামী তিন বছরে আমরা ভোজ্যতেলের আমদানি কমিয়ে আনবো। দেশে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করবো। আমরা ভোজ্যতেলের আমদানি ৪০ থেকে ৫০ ভাগে নামিয়ে আনতে চাই, যেটি বর্তমানে ৯০ ভাগ।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোনক্রমেই বাংলাদেশ বিদেশি সাহয্যের উপর নির্ভশীল নয়, কোনক্রমেই বিদেশী সাহায্যের উপর নির্ভরশীল থাকবে না। দেশে চালের দাম অবশ্যই বেড়েছে। গমের দাম বেড়ে গেলে মানুষ চাল বেশি খায়। ফলে চালের দাম বাড়ে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদেরও দেশের চাল খাওয়াতে হচ্ছে। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে চাপ আছে। চালের দাম বাড়ায় খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু খাদ্য নিয়ে দেশে হাহাকার নেই। এই সময়ে অনেক জায়গায় মঙ্গা হতো। গত ১৩ বছরে কোন মানুষ না খেয়ে মারা গেছে, তা হয়নি।’
আতিউর রহমান বলেন, ‘কৃষকরা এখন দেশের জন্য শুধু খাদ্য উৎপাদন করেন না, বিদেশেও রফতানি করেন। যে সব পণ্য আগে আমদানি হতো সেসব এখন দেশেই তারা উৎপাদন করেন। দেশের অর্থনীতি যে স্থিতিশীল আছে, তার মূল কারণ কৃষক। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সারাবিশ্বের খাদ্য সংকটের কথা বলেছেন, কেবলমাত্র বাংলাদেশের কথা বলেননি। আগামী বছর যে মহামন্দা আসছে সে সময়ও কৃষকের জন্যে বাংলাদেশ টিকে যাবে।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ