দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যার তথ্য নিয়ে হাইকোর্টের রুল
১৩ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৩০
ঢাকা: ঢাকা থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত মিডিয়া তালিকাভুক্ত দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা, বিজ্ঞাপনের হার ও তালিকাক্রম পুনঃনির্ধারণ করা কেন কর্তৃত্ব বহির্ভুত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরকে (ডিএফপি) পুনরায় আইন ও বিধি অনুযায়ী দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা, বিজ্ঞাপন হার ও তালিকাক্রম তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সচিব, চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিচালক (বিজ্ঞাপন ও ABC), উপ-পরিচালককে (বিজ্ঞাপন ও নিরাীক্ষা) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন সেতু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি।
এর আগে গত মাসে ফারহাদ জাহান শিরিন বাদী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন। তারও আগে গত ১৫ সেপ্টম্বর এ বিষয়ে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করা হয়।
পরে আইনজীবী দেওয়ান মো. আবু ওবাঈদ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা মহানগর হতে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত মিডিয়া তালিকাভূক্ত দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা, বিজ্ঞাপন হার ও তালিকাক্রম পুনঃ নির্ধারণ করে গত ৮ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নিজস্ব ওয়েবসাইডে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উপ-পরিচালক (বিজ্ঞাপন ও নিরীক্ষা) চৌধুরী সাহেলা পারভীনের স্বাক্ষরে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।’
পরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে ‘বাংলা জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা পরিবর্তনে তুঘলকি কান্ড’ শিরোনামে ‘দৈনিক মুক্ত খবর’ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
ওই সংবাদে বলা হয়, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মিডিয়া তালিকাভূক্ত দৈনিক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা, বিজ্ঞাপনের হার ও তালিকাক্রমের কারণে এই সেক্টরে কাজ করেন এমন ২০ হাজার পরিবার পথে বসবে।
পরে এ ঘটনায় সংক্ষুব্ধ হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ফারহাত জাহান শিরিন বাদী হয়ে ডিএফপি কর্তৃক প্রকাশিত গত ৮ সেপ্টেস্বর জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট (রিট পিটিশন নং: ১১৩৫৩/২২) দায়ের করেন।
আজ ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লষ্ট কর্তৃপক্ষেকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ