৭ দফা দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভ
১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৪১
ঢাকা: নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন, বেতন বৈষম্য নিরসনসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সরকারি কর্মচারীরা।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে এ দাবি জানান জাতীয় বেতন স্কেলের ১১-২০তম গ্রেডের কয়েকশ সরকারি কর্মচারী। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধন থেকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন ৯ম পে-স্কেল ঘোষণা, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য মহার্ঘভাতা প্রদান, মন্ত্রণালয়ের ন্যায় এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতি রেখে সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণসহ সাত দফার দাবি জানান ১১-২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা।
মানববন্ধন থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো:
ক. পে-কমিশন গঠনপূর্বক বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।
খ. ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
গ. সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।
ঘ. টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেডে বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল এবং সকল স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচুয়েটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুয়েটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি এক টাকা সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
ঙ. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগবিধি ২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত দপ্তরীসহ সকল জনবল ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।
চ. ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, অধঃস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে। এ ছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দিতে হবে।
ছ. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন-যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে, চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
মানববন্ধনে দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেস আলী, মানববন্ধন কর্মসূচি সমন্বয়ক মো. মাহমুদুল হাসানসহ বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারীর দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ