Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপির সমাবেশে জব্বারের বলীখেলার চেয়েও মানুষ কম হয়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৫১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে ‘জব্বারের বলীখেলার’ চেয়েও কম মানুষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সামনের মাসে আওয়ামী লীগ ‘গণমিছিল ও সমাবেশ’ করে দেখিয়ে দেবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এর আগে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনের দলীয় সংসদ সদস্য এবং তিন সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, পুলিশের গুলিতে ৫ নেতাকর্মী নিহত ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে লাখো মানুষের সমাগম হয়েছিল বলে বিএনপি নেতাদের দাবি।

এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপির সমাবেশ ‘ফ্লপ’ মন্তব্য করে বলেন, ‘বিএনপি তিন মাস হাঁকডাক করে মহাসমাবেশের নামে একটি ফ্লপ সমাবেশ করেছে। সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের চট্টগ্রামে এনে হোটেল ভাড়া করে রেখেছে। পরদিন তাদের নিয়ে সমাবেশ করেছে। চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলায়ও এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ হয়।’

উল্লেখ্য, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালি যুব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে চট্টগ্রাম শহরের বদরপাতি এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর কুস্তির প্রবর্তন করেছিলেন যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘বলীখেলা’ নামে পরিচিত। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হওয়া এই বলীখেলা প্রতিবছর বাংলা সনের ১২ বৈশাখ নগরীর লালদীঘির মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। বলীখেলা উপলক্ষে তিন দিন ধরে বসে বৈশাখী মেলা। এতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতা মিলে লাখো লোকের সমাগম হয়।

বিজ্ঞাপন

একই প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল পনের লাখ মানুষের সমাগম হবে। এখান থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার, টেকনাফের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার, সেখান থেকেও তারা মানুষ এনেছে। তারা পলোগ্রাউন্ড মাঠের চল্লিশ শতাংশ পেছনে রেখে মঞ্চ করেছে। আর সামনের যে অংশ তার অর্ধেকও পূর্ণ হয়নি। অর্থাৎ পলোগ্রাউন্ড মাঠের এক তৃতীয়াংশও ঠিকমতো পূর্ণ হয়নি। চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলায় যত মানুষ হয়, তার চেয়েও অনেক কম মানুষ হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, জব্বারের বলীখেলায় অনেক বেশি মানুষ হয়।’

বিএনপির সরকার পতনের এক দফা দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত ১৪ বছর ধরেই তারা এই আন্দোলনের মধ্যে আছে। আমরা সরকার গঠনের পর থেকেই তারা সরকারকে বিদায় দেওয়ার আন্দোলনের মধ্যে আছে। আন্দোলন করতে করতে দেখা গেল তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের আন্দোলনের মধ্যেই জনগণ পর পর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের দিয়েছে। আমরা মনে করি আগামী নির্বাচনে ভোট আমাদের আরো বাড়বে।’

বিএনপি সংঘাতের পথে হাঁটলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর জবাব দেওয়া হবে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা বিএনপির সমাবেশে ছিল না। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করে। আমরা জনগণকে নিয়েই আগামী মাসে গণসমাবেশ ও মিছিল করব। চট্টগ্রামের প্রত্যেক উপজেলা ও থানায় হবে। এরপর আমরা চট্টগ্রাম শহরে সমাবেশ করব। তখন বুঝবেন জেলা সমাবেশ কেমন হয়।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান মিতা, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, দিদারুল আলম, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান এবং দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/আইই

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

সম্পর্কিত খবর