‘বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হলে বাংলাদেশ যেন খাদ্য সহায়তা করতে পারে’
১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৩:০৬
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের অনেক সরকারি-বেসরকারি দফতর বা স্কুল কলেজে অনেক জায়গা আছে। আমি মনে করি সে সব জায়গায় কিছু উৎপাদনের দিকে যদি আমরা দৃষ্টি বা নজর দেই, যে যা পারি উৎপাদন করি তাহলে বাংলাদেশে কোনদিন আর খাদ্য দুর্ভিক্ষ হবে না। বিশ্বব্যাপী যদি দুর্ভিক্ষ হয় এবং বাংলাদেশ যেন খাদ্য যোগান দিতে পারে সেই ব্যবস্থাটাই আমাদের করতে হবে।’
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের পাশাপাশি পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে কৃষিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণ করা হয়েছে। বীজ উৎপাদনে গবেষণা চলছে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি রফতানির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’
করোনাভাইরাস মহামারিসহ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সংকটের কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধের ফলে পরিবহন এবং খাদ্যপ্রাপ্তিতে যে সমস্যা বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে এই সমস্যা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখতে হবে। কারণ আপনারা দেখেছেন যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে, খাদ্যের অভাব দেখা দিবে। তাই আমাদের বাংলাদেশে যেন কোনরকম খাদ্যের অভাব না দেখা দেয়। তার জন্য এখন থেকে সকলকে সচেতন হতে হবে। যার যেটুকু সামর্থ্য আছে জমি আছে, সবাই সেখানে কিছু উৎপাদন করেন। আর এখন তো ছাদ কৃষি থেকে শুরু করে নানা ধরনের কৃষি ব্যবস্থাও আছে। কাজেই সেভাবে পারেন নিজেদের খাদ্য উৎপাদনে সকলেই একটু মনোযোগী হোন, সাশ্রয়ী হোন।’
উৎপাদিত খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করার জন্য সংরক্ষণাগার নির্মাণে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের মাটি আর মানুষ, এই তো আমাদের সব থেকে বড় শক্তি। ফলমূলসহ অনেক কিছু নতুন উৎপাদন শুরু করেছি। কাজেই সে দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাটি, মানুষ ও প্রকৃতি; সব কিছুর সঙ্গে মিল রেখেই আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমাদের দেশকে আরও উন্নত করব এটাই আমাদের অঙ্গীকার। নিরাপদ খাদ্যটাই হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ও ল্যাবরেটরি এবং বিভাগীয় ল্যাবরেটরি স্থাপনে ইতোমধ্যে পূর্বাচলে ৫ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। আটটি বিভাগীয় শহরে বিভাগীয় ল্যাবরেটরি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের হটলাইন চালু করা হয়েছে বলেও জানান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
কৃষি উৎপাদনকে এগিয়ে নেওয়ায় কৃষিবিদসহ কৃষকদের ধন্যবাদ ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
সারাবাংলা/এনআর/এমও