আমি নীতির সঙ্গে কখনও আপস করিনি: সাবেক তথ্য সচিব
১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৫:২৭
ঢাকা: মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, সরকার যে কাউকে আগে অবসরে পাঠাতে পারেন। এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
তিনি বলেন, আমি আমার চাকরি জীবনে কখনও নীতির সঙ্গে আপস করিনি। আমি জানিনা কেন আমার বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এই আদেশ শিরোধার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত আমি আনন্দে গ্রহণ করেছি।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সাবেক তথ্য সচিব বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে এক বছর চার মাস দায়িত্ব পালন করেছি। আপনাদের (সাংবাদিক) নিয়েই ছিল আমার কাজ। আমি কেমন ছিলাম তা আপনারা জানেন।’
সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার জ্ঞানে আসছে না যে আমি কোনো অপরাধে জড়িত ছিলাম কী না।’
তিনি বলেন, ‘জীবনে পরিবার কিংবা কর্মক্ষেত্র সব জায়গাতেই মত পার্থক্য থাকতে পারে। তেমনি আমার সঙ্গে মাননীয় মন্ত্রী এবং সহকর্মীদের কোনো বিষয়ে মত পার্থক্য ছিল। আবার তা মিটিয়েই সরকারি কাজ এগিয়ে নিয়েছি। আমাদের টিমওয়ার্ক এমনই।’
মকবুল হোসেন বলেন, ‘কোনো একটা সংবাদপত্র লিখেছে বিএনপি অফিসের কাছে কোন একটা অফিসে আমার নিয়মিত যাতায়াত ছিল। আমি আপনাদের বলি আমি আজ পর্যন্ত বিএনপি অফিসের কাছে কোনোদিন যাইনি। আমার পরিবার বঙ্গবন্ধুর মতাদর্শের পরিবার। সেখানে আমি বেড়ে উঠেছি। আমার বড়ভাই নিজ এলাকায় ৩৫ বছর ছিলেন আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমার বাড়িতে ছয়জন মুক্তিযোদ্ধা। এমন পরিবেশে আমি কি করে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারি?’
তিনি বলেন, ‘আমি নাকি লন্ডনে তিন মাস আগে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। হ্যা এটা সত্যি যে আমি লন্ডনে গিয়েছি তবে তা তিন মাস আগে নয়, মার্চে একটি টিম নিয়ে গিয়েছি। সেখানে সরকারের মিটিং এ যুক্ত থেকেছি। আমি তারেক রহমানকে সামনাসামনি কোনোদিন দেখিনি। দেখার ইচ্ছাও নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি সৃষ্টিকর্তাকে যেভাবে স্মরণ করি তেমনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি। সরকার বিরোধী কোনো কার্যক্রমে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। আমার জীবনে নৈতিকতার সঙ্গে কখনও আপস করিনি।’
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতির জন্য আমি কখনও প্রস্তুত ছিলাম না। আমি জানি না কি অপরাধ আমার। ভাল হতো আমার কি অপরাধ তা জানতে পারলে। নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে রাষ্ট্রের কাছে যা আমি জানি না। রোববার আদেশের পর মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি কিছু বলেননি।’
বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- সরকার আদেশ দিয়েছে। আমি আনন্দের সঙ্গে নিয়েছি। হয়তো রোববার থেকে আদেশ কার্যকর হয়েছে। আমি আজ নিজের কাগজপত্র গুছিয়ে নিতে এসেছি।’
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভূলত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন। আপনারা সকলে ভালো থাকবেন।’
সারাবাংলা/জেআর/ইআ