Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শুনানি পেছাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৬:০২

ঢাকা: ২০১৮ সালের ৬ মার্চ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর অভিযোগে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসান ও রমনা মডেল থানার সে সময়ের অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলামসহ ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা আবেদনের ওপর শুনানি তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাটির শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্ত এদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ নভেম্বর ধার্য করেছেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা হাফসা ঝুমা।

বিজ্ঞাপন

গত ১২ অক্টোবর মিলনের চাচা বিএনপি নেতা বি.এম. অলি উল্যাহ এই মামলাটির আবেদন করেন।

আরও যাদের আসামি করার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন-ঘটনাকালীন সময়ে শাহবাগ থানায় দায়িত্বরত এসআই শাহরিয়ার রেজা, অমল কৃষ্ণ, সাইদুর রহমান মুন্সি ও সুজন কুমার রায়।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মামলায় গ্রেফতার ও সাজার প্রতিবাদে জাকির হোসেন মিলন ও তার সহপাঠী আকরাম হোসেন ফরাজী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য রওনা হয়। মানববন্ধন শেষে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ মৎসভবনের কাছে পৌঁছালে মিলন, আকরামকে আসামিরাসহ আরও সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসার ও সদস্যরা মিলে আটক করে নির্যাতন করতে করতে রমনা মডেল থানায় নিয়ে যায়।

থানায় নিয়েও ওসিসহ অন্যান্যরা তাদের নির্যাতন করেন। পরে তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেও তাদের নির্যাতন করা হয়। পরে তাদের শাহবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের গ্রেফতারের খবরে বি.এম. অলি উল্যাহ প্রথমে রমনা ও পরে শাহবাগ থানায় যান।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে গত ৮ মার্চ তাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। আদালতে ডসয়ে দেখতে পান পুলিশ হেফাজতে জখম অবস্থায় মিলনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। মিলন বাদীকে জানান, পুলিশ তাকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন। এরই মধ্যে পুলিশ তাকে ভ্যানে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ডিবি কার্যালয়, শাহবাগ ও রমনা মডেল থানায় খোঁজাখুজি পরেও বাদী তার সন্ধান পাননি। পরে জানতে পারেন মিলন শাহবাগ থানার হেফাজতেই আছে। বাদী আসামিদের অনুনয়-বিনয় করেও ভাতিজার সাক্ষাৎ পাননি।

গত ১১ মার্চ মৃত প্রায় অবস্থায় মিলনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। কেরানীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে মিলনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সে মৃত্যুবরণ করেন। পরে একজন ফোন দিয়ে বাদীকে মিলনের মৃত্যুর খবর জানান। পরে ঢামেকে গিয়ে দেখতে পান মিলনের মরদেহ মর্গের সামনে পড়ে আছে। মিলনের শরীরে অমানষিক নির্যাতনর চিহ্ন দেখতে পান তিনি।

সারাবাংলা/এআই/ইআ

ছাত্রদল নেতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা মামলার শুনানি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর