Wednesday 20 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাসপাতালে নেই ঠাঁই তবুও আসছে ডেঙ্গু রোগী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৩৪

ঢাকা: দেশে চলতি মাসে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমন অবস্থায় রাজধানীর কোনো হাসপাতালেই শয্যা ফাঁকা না থাকলেও প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এ সময় দ্রুত হটস্পট এলাকায় মশক বিরোধী অভিযান চালানোর আহ্বান জানান সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব।

ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘প্রতিদিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে সিট না থাকলেও রোগীরা আসছে। সিট না থাকলেও আমরা তো তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না। মেঝেতে হলেও তাদের জায়গা এবং চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আজকের সভায় আমরা হাসপাতালগুলোতে আলাদা ডেঙ্গু ইউনিট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পর্যাপ্ত ফ্লুইড সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে মশারি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। রোগী যদি মশারি না নিয়ে আসে, তাহলে হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থা করে দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশনগুলোকে বলেছি, দ্রুত হটস্পটগুলোতে অভিযানের ব্যবস্থা করেন। শুধু অভিযান করলেই হবে না, মিডিয়ার ফোকাসে আনেন। সাধারণ মানুষসহ সবাইকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিন।’

সচিব বলেন, ‘সিটি করপোরেশন এলাকার ময়লাগুলো দ্রুত পয়ঃনিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন। আজকের ময়লা যেন আগামীকালের অপেক্ষায় না থাকে। ময়লা ম্যানেজমেন্টে অনেক ঝামেলা আছে, তারপরও এটাকে আপনারা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।’

রোগীর চিকিৎসা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরই বিপদ শুরু হয়। তখনই প্লাটিলেট নামা শুরু করে। ওই সময়টাতে রোগীরাও বুঝতে পারে না। তারা মনে করে সুস্থ হয়ে গেছে, এমনকি বিছানা থেকেও উঠে যায়। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’

আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর ব্রিডিং শুরু হয়ে গেলে তখন ডাক্তারও কিছু করতে পারে না। ১০ থেকে ১২ হাজারে প্লাটিলেট চলে এলেই দাতের গোড়া থেকেসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্রিডিং শুরু হয়। সুতরাং আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সচেতনতা প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে আমরা অভিযান পরিচালনা করে ও কিছু করতে পারব না। মশারির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আশপাশের জায়গাগুলো পরিস্কার রাখতে হবে। ডাবের পানি ডেঙ্গুতে খুবই জরুরি, কিন্তু ডাবের খোসা আমাদের জন্য সর্বনাশের কারণ।’

সারাবাংলা/এসবি/ইআ

টপ নিউজ ডেঙ্গু রোগী স্বাস্থ্য সেবা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর