Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এক দশক পর ফের কনটেইনারে লাশ, বন্দরে তোলপাড়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৭:০০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে যাওয়া একটি কনটেইনার থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ পেনাং বন্দর ও শিপিং এজেন্টের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য না পেলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে।

এক দশক আগেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছানো একটি কনটেইনার থেকে এক বাংলাদেশীর লাশ ও আরেকজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। তারা অবৈধভাবে সিঙ্গাপুর পাড়ি দেয়ার জন্য কনটেইনারে ঢুকেছিল বলে সেসময় তথ্য মিলেছিল। সর্বশেষ মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিও অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গমনের উদ্দেশে কনটেইনারে ঢুকেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, মৃত ব্যক্তি আদৌ বাংলাদেশি কি না সেটা তারা নিশ্চিত নয়।

বিজ্ঞাপন

যে কনটেইনার থেকে লাশ উদ্ধার হয়েছে, সেটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান সিনোকর শিপিং লাইন্সের মালিকানাধীন একটি জাহাজে করে মালয়েশিয়ায় যায় বলে জানা গেছে।

প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশি এজেন্ট গ্লোবলিঙ্ক অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, সিনোকরের নিজস্ব জাহাজ ‘এমভি সোয়াসদি আটলান্টিক’ গত ৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পেনাংয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ৯ সেটি অক্টোবর পেনাং পৌঁছায়। সেখানে কিছু কনটেইনার নামিয়ে জাহাজটি ১০ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে চলে যায়।

১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় পেনাং বন্দরে খালি কনটেইনারটি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সেখানে সন্দেহজনক কিছু থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিনোকরের স্থানীয় এজেন্টকে জানায়। ১৭ অক্টোবর সিনোকরের পক্ষ থেকে গ্লোবলিঙ্ককে জানানো হয়, কনটেইনারে একটি লাশ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

কনটেইনারটি সীতাকুণ্ডের বেসরকারি বিএম ডিপো থেকে গত ৪ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে জাহাজে তোলা হয়েছিল বলে তিনি জানান।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘কনটেইনারে লাশ পাওয়া গেছে বলে আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি। পেনাং বন্দর কর্তৃপক্ষ বা শিপিং লাইনসের পক্ষ থেকে আমাদের ফরমালি কিছুই জানানো হয়নি। যদি জানানো হয়, তখন আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। কনটেইনারটি কোন ইয়ার্ড থেকে এসেছে, জাহাজে লোডিংয়ের বিষয়, ট্রান্সশিপমেন্ট কোথায় হয়েছে- এসব সামগ্রিক বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি।’

তবে লাশটি বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের কি না সেটা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওমর ফারুক।

২০১১ সালে সিঙ্গাপুরের একটি বন্দরে একইভাবে একটি ঘটনা ঘটেছিল। ওই বছরের ১০ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের পাসির পানজাং টার্মিনালে পৌঁছা একটি কনটেইনার খুলে মৃত অবস্থায় আলমগীর নামে একজনকে এবং কঙ্কালসার অবস্থায় দীন ইসলাম নামে আরেকজনকে পাওয়া যায়। দীন ইসলামকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা দিয়ে পরে ফেরত আনা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘অবৈধ পথে ভিনদেশে পাড়ি দেয়ার চেষ্টায় ২০১১ সালের ঘটনাটি ঘটেছিল। এটিও একই ধরনের ঘটনা কি না, সেটা আমরা খতিয়ে দেখব। তবে তার আগে নিশ্চিত হতে হবে লাশটি কোনো বাংলাদেশীর কি না। কারণ কনটেইনার পেনাং পোর্টে নামানোর পর চারদিন ছিল। এরপর লাশটি পাওয়া যায়।’

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর