Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবি প্রভোস্টের ‘ইন্তেকাল’ বিজ্ঞপ্তি

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৭:১২

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভুঁইয়া ‘ইন্তেকাল’ করেছেন—এমন পোস্টারে ছেয়ে গেছে সংশ্লিষ্ট হলের বিভিন্ন প্রান্তের দেয়াল। কিন্তু, খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তিনি ‘ইন্তেকাল’ করেননি; হলের নানান সংকটে ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরাই প্রতিবাদ হিসেবে এমন পোস্টার ছাপিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে মাস্টারদা সূর্যসেন হলে গিয়ে দেখা যায়—হলের বিভিন্ন প্রান্তের দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো আছে। পোস্টারের মাঝে দেওয়া আছে অধ্যাপক মকবুল হোসেনের একটি ছবি।

বিজ্ঞাপন

‘শোক সংবাদ’ শিরোনামে সাঁটানো পোস্টারে লেখা আছে—‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সম্মানিত প্রভোস্ট জনাব মকবুল হোসেন ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহ…)।

ওই পোস্টারে আরও লেখা হয়—‘তার অকাল প্রয়াণে মাস্টারদা সূর্য সেন হল পরিবার অত্যন্ত শোকাহত। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে, ১ মেয়ে, স্ত্রী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।শোকান্তেঃ মাস্টারদা সূর্য সেন হল পরিবার।’

হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূজার ছুটির পর থেকে এখনো পর্যন্ত ক্যান্টিন বন্ধ আছে হলটির। এ ছাড়া, প্রায় প্রতিটি ফ্লোরেই পানির ফিল্টারগুলো সমস্যায় জর্জরিত। এদিকে, সম্প্রতি পচা খাবার বিক্রির দায়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে হলের একটি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হলেও বিনা নোটিশে আবারও চালু করা হয়েছে দোকানটি। ক্যান্টিন বন্ধ থাকলেও ক্যান্টিনের গ্যাস দিয়েই চলে ওই দোকান—এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূর্যসেন হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, ‘হলে এত এত সমস্যা, কিন্তু প্রভোস্টের কোনো খবর নেই। উনি আসলে আছেন কেন, সেটাই বুঝতে পারি না আমরা। মানুষ মরে গেলে যেমন কোনো কাজ করতে পারে না, সেন্স থাকে না; ঠিক তেমনই মকবুল স্যারের অবস্থা।’

বিজ্ঞাপন

তবে অধ্যাপক মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদ নতুন নয়। এর আগে গতবছর নভেম্বর মাসে ‘Missing’ শিরোনামে একটি পোস্টার ছড়িয়ে দেয় সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সেবারও অধ্যাপক মকবুল হোসেনের দায়িত্বে অবহেলার কথা জানিয়েছিলেন হলটির শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন বলেন, হলে আরও দায়িত্বশীল লোক থাকা সত্ত্বেও কেন তার বিরুদ্ধেই শুধু এমন কাজ করা হচ্ছে, তা সন্দেহজনক। এসব কাজ কারা করছে, তাদের খুঁজে বের করতে সহায়তা চান তিনি।

অধ্যাপক মকবুল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এগুলা যারা করছে, এরা কারা? নিশ্চয় তাদের কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমাকে একটু সহযোগিতা করুন এদের খুঁজে বের করতে। কেবল আমার বিরুদ্ধেই করছে এরা।’

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোনো সমস্যা থাকলে একসঙ্গে বসে সেটার সমাধান করতে হবে। আর শিক্ষার্থীরা কেনই বা বারবার সংক্ষুব্ধ হচ্ছেন, সেটাও খুঁজে বের করা দরকার।’

সারাবাংলা/আরআইআর/আইই

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২ দিনে আয় ২৮৯ কোটি টাকা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:৩২

মৌসুমী হামিদের সংসার যেমন চলছে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২৬

সম্পর্কিত খবর