Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জিয়ার আমলে দণ্ডিত ৮৮ জনের সাজা কেন অবৈধ নয়, রুল জারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৭:১৬

ঢাকা: জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সামরিক আদালতে দণ্ডিত- চাকরিচ্যুতদের দণ্ড অবৈধ ঘোষণা এবং সামরিক আদালতে দণ্ডিতদের চাকরির স্বাভাবিক অবসর গ্রহণ পর্যন্ত বেতন, অন্য সব সুবিধা, পেনশন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না– তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

রুলে ১৯৭৭ সালের মার্শাল ল’ রেগুলেশনে গঠিত ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত করা ও দণ্ডকে অবৈধ ঘোষণা করে আবেদনকারীদের দেশপ্রেমিক হিসেবে বিবেচনার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না এবং তারা নিয়মিত অবসরে গেলে যে বেতন, সুবিধা এবং পেনশনের অর্থ পেতেন, তা প্রদানে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন।

একইসঙ্গে সরকারি চাকরিতে আবেদনকারীদের পরিবারের সদস্যদের সার্ভিস অব ওয়ার্ড প্রদানে কেন বিবাদীদের নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিমান বাহিনী প্রধান ও সেনাবাহিনী প্রধানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল রিট আবেদনটি করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট সাইদুর রহমানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন এবং দণ্ডিত, চাকরিচ্যুত তৎকালীন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যসহ ৮৮ জন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মতিউর রহমান।

রিটের পরে মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্শাল ল’ রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৭৭ দ্বারা সামরিক আদালতে জিয়াউর রহমান অন্যায়ভাবে বিচার করেছিলেন। সেই বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছিল, যাদের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল এবং যারা চাকরিচ্যুত হয়েছিল সেসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনার জন্য রিট আবেদনটি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া যারা মারা গেছেন তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পোষ্যদের যাতে সরকারি চাকরিতে অ্যাকোমোডেট করার আর্জি জানানো হয়েছিল।

৮৮ জনের মধ্যে ১৩ জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত, ৩৩ জন যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত। আর বাকি ৪২ জন চাকুরিচ্যুত।

রিট আবেদনে একটি সংবাদ প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়; তাতে বলা হয়েছে, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমানবাহিনীতে সংগঠিত বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করা হয়েছিল। তখন সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া হয় ১১ জন অফিসারসহ ১ হাজার ৪৫০ জন বিমান সেনাকে। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত হন আরও চার হাজার জন। নিখোঁজ হন অসংখ্য।

সারাবাংলা/কেআইএফ/আইই

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিপদসীমার ওপরে পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬

তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর