সেবার মান নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ
১৮ অক্টোবর ২০২২ ১৮:১০
ঢাকা: গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে গ্রামীণফোনকে সেবার মান নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) টেলিনর‘র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব এশিয়া জর্গেন সি আরেন্টজ রজট্রাপের নেতৃত্বে গ্রামীণফোনের একটি প্রতিনিধিদল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দফতরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মন্ত্রী গ্রামীণফোনকে সেবার মান নিশ্চিত করার এ নির্দেশ দেন।
সাক্ষাতে তারা মোবাইল সেবার মানোন্নয়ন ও ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা চালু, দেশে স্মার্টফোন গ্রাহক শতভাগে উন্নীত করার কৌশল ও ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তা এবং মোবাইল ইন্টারনেট সম্প্রসারণ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে গ্রামীণফোন তাদের মোবাইল সেবা অব্যাহত রাখবে এ আশা প্রকাশ করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সেবার মান যত বাড়বে কলড্রপ ভর্তুকি তত কমে আসবে। গুগল কিংবা মাইক্রোসফট আজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে। উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া ডিজিটাল যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কারো পক্ষে সহজ হবে না।’
এক সময় মানুষ ভয়েজ কলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘তবে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ধারাবাহিকতায় এখন তারা ইন্টারনেটই নয়, উচ্চগতির ইন্টারনেট চায়।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আপনারা আপনাদের গ্রাহককে চেনেন, তাদের কী দাবি সেটাও আপনারা জানেন। জনগণ যথাযথ সেবা চায়। মোবাইল সেবার মান নিশ্চিত করতে অবকাঠামো উন্নয়নে সম্ভাব্য সবকিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এরই মধ্যে আমরা চাহিদার মানদণ্ড বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনমতো স্পেকট্রাম বরাদ্দ দিয়েছি।’
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোবাইল অপারেটরগুলো শিগগিরই গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত মোবাইল সেবা প্রদানে সক্ষম হবে বলে আশা করে তিনি।
ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্টফোন ব্যবহারের হার শতভাগে উন্নীত করতে গ্রামীণফোনকে ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ গ্রাহকরা যাতে কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনতে পারেন, গ্রামীণফোন এ ধরনের উদ্যোগ নিলে, তা খুবই প্রশংসিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
করোনাকালে দেশে জীবনযাত্রা সচল রাখতে মোবাইল অপারেটরগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কাছে ইন্টারনেট এখন অত্যাবশ্যক একটি বিষয়। কোভিডের আগে দেশে এক হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো, কোভিডকালে তা বেড়ে ৩৮৪০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।’
করোনাকালে দেশের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর দোরগোরায় ফোর-জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে তার নির্দেশ দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নে গ্রামীণফোনের ভূমিকার প্রশংসাও করেন তিনি।
জর্গেন সি আরেন্টজ রজট্রাপ তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন, স্মার্টফোন প্রসার, ডেটা সিকিউরিটি, ডেটা প্রাইভেসি এবং আগামী এক বছরের মধ্যে গ্রামীণফোনের সক্ষমতা দ্বিগুণে উন্নীত করতে তাদের পরিকল্পনার বিষয়টি মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি মন্ত্রীকে গ্রাহক সেবার মান সমুন্নত করার প্রতিশ্রুতিও প্রদান করেন। একইসঙ্গে তিনি ২০২১ ও ২২ সালের স্পেকট্রাম নিলামের প্রশংসা করেন।
প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন, টেলিনরের হেড অব এক্সটার্নাল রিলেশন মনিষা দগরা, হেড অব ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ওলি জর্ন জুলস্টাড ও গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ