বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য খলনায়কদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি
১৯ অক্টোবর ২০২২ ০০:২২
ঢাকা: ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা খলনায়কদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও অসহায়-দুঃস্থদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ভ্যানগাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে নেতারা এসব কথা বলেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাসের পাতায় ৭৫-এর ১৫ আগস্ট একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। খুনিরা কখনোই ক্ষমা পাবে না। বঙ্গবন্ধু যখন দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, সোনার বাংলা এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই সেই পাকিস্তানি পরাজিত শত্রুরা চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। আজ বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জেনারেল জিয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সে কারণে শেখ রাসেলের জন্মদিনে দাঁড়িয়ে বলতে চাই, বিভীষিকাময় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার তাদের বিচার করেছে এবং বিচারের রায় কার্যকর করেছে। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের খলনায়ক যারা তাদের মুখোশ এখনো উন্মোচিত হয়নি। তাদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচার করা আজ সময়ের দাবি।’
১৫ আগস্টের খলনায়ক খুনি জিয়াউর রহমানের বিচার দাবি করেছিল ক’জন সুশীল সমাজের ব্যক্তি এমন প্রশ্ন তুলে নানক বলেন, ‘যে সুশীল সমাজ আজ মানবাধিকারের কথা বলে। সেদিন শিশু শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু সপরিবারকে নির্মমভাবে হত্যার পরও কোনো সুশীলসমাজ তার নিন্দা করেনি, বিচারের দাবি জানায়নি। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে হত্যার পর খুনিদের রক্ষা করতে আইন পাস করেছিল খুনি জিয়াউর রহমান। সেদিন খুনি জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। তার পরও কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি।’
শেখ রাসেল আমাদের প্রেরণা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফুল ফোটার আগেই ঝরে যাওয়া এক রক্ত গোলাপের কলি শেখ রাসেল। এই ফুলটি ঝরে না গেলে আজ গোলাপ হয়ে গন্ধ বের হতো। দেশ এবং সমাজ গঠনে বোন শেখ হাসিনার পাশে থেকে এক ইতিবাচক ভূমিকা রাখত। শিশু শেখ রাসেল আমাদের শক্তি, সাহস এবং প্রেরণা। শেখ রাসেলের আত্মদানের মধ্য দিয়েই আমরা শিশু অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘খুনিদের চক্রান্ত এখনো শেষ হয়নি। তারা এখনো ক্ষান্ত হয়নি। তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, কখন ষড়যন্ত্র করা যাবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আর সুযোগ দেওয়া যাবে না। ষড়যন্ত্র করলেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে।’
ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম