চট্টগ্রাম ব্যুরো: ছুরিকাঘাতে এক শ্রমিক নিহতের জেরে ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে দুইদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভে নেমেছে। এতে দেশের অন্যতম বড় এই ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালী থানার খাতুনগঞ্জের চাঁন মিয়া গলিতে মাসুদ নামে এক শ্রমিক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। দিনভর সকল ধরনের পণ্য ওঠানামা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যায় সচল হয় খাতুনগঞ্জ।
কিন্তু বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্রমিক মাসুদের মৃত্যু হয়। শ্রমিকদের অভিযোগ, সোমবার সকালে পণ্য নিয়ে খাতুনগঞ্জে যাওয়া এক পিকআপ চালকের সঙ্গে মালামাল ওঠানামার কাজে নিয়োজিত এক শ্রমিকের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যায় ওই পিকআপ চালক ‘কিশোর গ্যাং’ নিয়ে এসে মাসুদের ওপর হামলা করে।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল কবীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘হামলায় আহত মাসুদকে চমেক হাসপাতালের ২৭ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আজ (বুধবার) ভোরে তার মৃত্যু হয়।’
এদিকে মাসুদের মৃত্যুর খবরে শ্রমিকদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দলে-দলে দোকান-আড়ত থেকে বের হয়ে তারা রাস্তায় নামেন। কাজ বন্ধ রেখে পুনরায় বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এর ফলে আবারও অচল হয়ে পড়েছে খাতুনগঞ্জের সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম। হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।
মাসুদের ওপর হামলার ঘটনায় পিকআপ চালক মোহাম্মদ রাসেলসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ছেলে বাবুল।
নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার মুজাহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘হামলাকারীদের আমরা শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’