নতুন তথ্য সচিব যোগদান সম্পর্কেও কিছু জানেন না তথ্যমন্ত্রী
১৯ অক্টোবর ২০২২ ১৬:২৬
ঢাকা: মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তার স্থলভিষিক্ত কবে, কে আসছেন সে সম্পর্কেও কিছু জানেন না তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
জনস্বার্থে তথ্য সচিবকে অবসরে পাঠানোর একদিন পর তিন এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। হঠাৎ প্রশাসনে এমন সিদ্ধান্ত কেন- প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এসপিদের অবসরে পাঠানোর ব্যাখ্যা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছেন।’
তবে সাবেক তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠানোর অন্তর্নিহিত কারণ তিনি জানেন না বলেও উল্লেখ করেছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘তার (সাবেক তথ্য সচিব) বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সংবাদপত্রে দেখা যাচ্ছে। তবে তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি সকলের সঙ্গে কাজ করতে পারি।’
নতুন সচিব কবে যোগ দেবেন- সে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তা আমি জানি না।’
এদিকে ভোটকেন্দ্রের বুথে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে সে বিষয়ে কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষ নানা অভিমত দিয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ১০টা অনলাইন পত্রিকায় এ সংক্রান্ত নিউজ এসেছে, সেখানে অনেক আইনজ্ঞও তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। তারা বলেছেন, গোপন কক্ষে মানুষ গোপনেই ভোট দেবে এটা মানুষের অধিকার। সেখানে ক্যামেরা লাগালে তো আর গোপন থাকল না। তা যদি অন্যদের দেখানো হয় তাহলে তো গোপন থাকে না।’
তিনি বলেন, ‘আগের মেয়র নির্বাচনে শামীম ওসমান ভোট দিয়ে এসে গণমাধ্যমে দেখিয়েছিলেন কাকে ভোট দিয়েছেন। তখন সেখানে কমিশন শোকজ করেছিল যে এটা ঠিক না। সেই কমিশন যদি আবার উদ্যোগ নেন তাহলে সেটা গোপনীয়তা লংঘন বলে মনে করি। ক্যামেরা ভোটকেন্দ্রে হতে পারে কেউ অপরাধ করছে কীনা তা দেখার জন্য। তবে তা ভোটকেন্দ্রে বসানো ঠিক নয়।’
গাইবান্ধা নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি। তিনি শুধু বলেছেন, ইসি দূরবীক্ষণের মাধ্যমে দূর থেকে দেখে বলেছেন আনওয়ান্টেড লোক ঢুকেছে। সেজন্য নির্বাচন বন্ধ করেছে। গ্রামের লোক তো ইভিএম বোঝে না। আমি নিজেও ইভিএম এ ভোট দিইনি।’
সারাবাংলা/জেআর/ইআ