সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে ৪ নারীকে মারধর করলেন ইউপি চেয়ারম্যান
২৩ অক্টোবর ২০২২ ১০:৪০
মুন্সীগঞ্জ: সম্পত্তি বিরোধের জেরে ৪ নারীকে মারধর ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বলে সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই ৪ নারী বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতরা হলেন- হোসনে আরা বেগম (৫০), রাশেদা বেগম (৫০), নাছিমা বেগম (৩৫), মাকসুদা বেগম (৪৫)।
গতকাল শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলের দিকে সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পানহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রামপাল ইউনিয়নের পানহাটা গ্রামের মৃত আফাজউদ্দিন বেপারির ১ একর ৩ শতাংশ সম্পত্তির ওয়ারিস সূত্রে তার ৬ মেয়ে ও তার দুই ছেলে ৪ মাস আগে ঘর তোলেন। এ কারণে রামপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ আফাজউদ্দিন ব্যাপারির ওয়ারিশদের নিজ বাড়িতে ডেকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু চেয়ারম্যানের কথা না মানার কারণে শনিবার বিকেলে ওই ৪ নারীকে মারধর করে আহত করা হয়।
জানা গেছে, আফাজউদ্দিন ব্য্পারির মেয়ে মাকসুদা ও নাছিমার সঙ্গে তাদের আপন ভাই বারেক ব্যাপারির সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ৪ বছর আগে বারেক ব্যাপারি মারা গেলে ওই সম্পত্তি তার স্ত্রী রিনা আক্তার একাই ভোগ করে আসছেন। এ নিয়েও উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া চলতো। বারেক ব্যাপারির স্ত্রী রিনা আক্তার রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখের আত্মীয় হওয়ায় বাচ্চু শেখ রিনা আক্তারের পক্ষ নিয়ে ৪ নারীকে লাঠিসোটা দিয়ে বেদম প্রহার করে গুরুতর আহত করেন।
আহত হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমার নানার (আফাজউদ্দিন ব্যাপারির) সম্পত্তিতে ঘর তুলেছি। সে ঘরটি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের প্রতিপক্ষ রিনা আক্তার বাচ্চু শেখের আত্মীয় হওয়ায় চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ এ ব্যাপারে সঠিক বিচার না করে আমাদের মারধর করেছে।’
রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি একজন চেয়ারম্যান হয়ে অকারণে কেনো তাদের মারধর করবো। আমি তো এ ব্যবসা নিয়ে বসিনি। আমার সঙ্গে তাদের কোনো লেনদেন নেই। শত্রুতাও নেই, কাজেই আমি তাদের কেন মারধর করবো?’
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান বলেন, ‘রামপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ চার জন নারীকে মারধর করেছে এমন একটি ঘটনায় থানায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও