Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সংসদে চেয়ার থাকবে না, জুতাপেটা করে জিএম কাদেরকে তাড়ানো হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ অক্টোবর ২০২২ ১৩:৩৮

ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, ‘আসন্ন অধিবেশনে সংসদে জি এম কাদেরের উপনেতার আসনটি সরে যাবে। বেগম রওশন এরশাদের চেয়ারের পাশে তিনি আর বসতে পারবেন না। বেগম রওশন এরশাদের পাশের চেয়ারে বসবেন অন্য কেউ। সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। জি এম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’ এসময় পার্টি অফিস থেকে জি এম কাদেরকে পার্টি অফিস থেকে জুতাপেটা করে তাড়ানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাঙ্গাঁ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে জাতীয় পার্টি (রওশনপন্থী) আয়োজিত উপজেলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

বিরোধী দলের চিফ হুইপ বলেন, ‘আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে। সেখান থেকে বিদায় নেবে জিএম কাদের। জি এম কাদেরের সঙ্গে তিন জন এমপি ছাড়া আর কেউ নেই। আগামী ২৬ নভেম্বর রওশন এরশাদের ডাকা জাতীয় কাউন্সিলের আগেই এমপিরা কোন দিকে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই এ বিষয় নিয়ে সংশয় থাকবেন না। সময়মতো আমরা আমাদের লক্ষে পৌঁছে যাবো। বনানী ও কাকরাইল অফিস আমাদের হবে। জি এম কাদেরকে জুতাপেটা করে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির অবৈধ চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের আছেন। তিনি জাতীয় পার্টির সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ৫ কোটি করে টাকা নিচ্ছেন। আবার বিএনপির জোটে যাবেন, সে জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবেন সেখান থেকেও টাকা নিচ্ছেন। দুই নৌকায় পা রেখে রাজনীতি হয় না। জিএম কাদের তাই করছেন। আমি প্রশ্ন করতে চাই, জিএম কাদের সাহেব আপনার কত টাকা প্রয়োজন? সরকারের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। টাকাগুলো কি করছেন?”

মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ আরও বলেন, ‘জি এম কাদের কখনও রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের একজন কর্মচারী। সেখান থেকে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। পেট্রোলিয়াম করপোরেশন থেকে দুর্নীতির দায় তার চাকরি চলে যায়। অথচ তিনি নিজেকে ক্লিন ইমেজ হিসাবে দাবি করেন। নামের পেছনে জনবন্ধু লেখেন, তার নির্বাচনী নিজ এলাকায় জন শত্রু হিসেবে পরিচিত।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘জি এম কাদের এরশাদ সাহেবের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে চান না। কারণ এরশাদ সাহেব তাকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ৫ বার বহিস্কার করেছিলেন। সেই ক্ষোভ থেকে এরশাদ সাহেবের চিহ্ন মুছে ফেলতে চেয়েছেন তিনি।’

আলোচনা সভায় কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘জিএম কাদেরের চারপাশে রয়েছে চাটুকার দল। তারা জাতীয় পার্টিকে বাণিজ্যের প্লাটফর্ম বানিয়েছেন। এই কালো থাবা থেকে জাতীয় পার্টিকে মুক্ত করতে হবে। জাপার দলীয় গঠনতন্ত্রে যেসব কালোধারা রয়েছে তা সংশোধন করা হবে আগামী জাতীয় কাউন্সিলে। দল থেকে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের দলে ফিরিয়ে আনা হবে।’

সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদ দল সংস্কার করার জন্য জাতীয় কাউন্সিল ডেকেছেন। আর জি এম কাদের জাতীয় পার্টিকে তার পিতৃ সম্পত্তি পেয়েছে বলে মনে করেন। আসলে এটি তার পিতৃ সম্পত্তি নয়। এটি এরশাদের সম্পত্তি। ভাইয়ের সম্পত্তি কখনও ভাই পায় না। এরশাদ সাহেবের সম্পত্তি পাবেন তার স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ।’

এসএম আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, এম এ গোফরান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম , মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেনসহ অনেকে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

জাতীয় সংসদ জি এম কাদের জুতাপেটা

বিজ্ঞাপন

নতুন বার্সেলোনায় মুগ্ধ মেসি
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫৫

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর