Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অক্টোবরের ২০ দিনে রেমিট্যান্স ১১৮২৫ কোটি টাকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ অক্টোবর ২০২২ ২১:৫১

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: চলতি অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসীরা ১১০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ (১ ডলার ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) ১১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৭০ কোটি ডলার, যা গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য বেশি। সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বরে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। অন্যদিকে, গত বছরের অক্টোবরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৬৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, অক্টোবরের প্রথম ২০ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৪ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার।

আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৬ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এরপর সোনালী ব্যাংকে ৬ কোটি ৮ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকে ৭ কোটি ৮৪ লাখ, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৬ কোটি ৮ লাখ এবং ডাচ্–বাংলা ব্যাংকে ৬ কোটি ১৭ লাখ প্রবাসী আয় এসেছে।

আলোচিত সময়ে আট ব্যাংক কোনো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারেনি। সেগুলো হলো- বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খা‌তের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এদিকে, গত তিন মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ কমে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। গত ২০ অক্টোবর রিজার্ভ কমে ৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এই রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-২২ থেকে সেপ্টেম্বর-২২) রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬৭ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার এবং গত সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলারে নেমে আসে।

বিজ্ঞাপন

এছড়া, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬৭ কোটি ৪২ লাখ ডলার। এটি গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় ২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেশি।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ডলার সংকট তীব্র আকার ধারণ করলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে নতুন আশার সঞ্চার করেছিল। বিদায়ী অর্থবছর রেমিট্যান্স নিয়ে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল নতুন অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেই তা অনেকটাই কেটে যায়। তবে গত সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আশার কথা হলো, গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।

অর্থবছরভিত্তিক রেমিট্যান্স

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা দুই হাজার ১০৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এক হাজার ৬৩১ কোটি ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

পঞ্জিকাবর্ষ হিসাবে রেমিট্যান্স

বিদায়ী ২০২১ সালে প্রবাসীরা রেকর্ড দুই হাজার ২০৭ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০২০ সালে দুই হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০১৯ সালে এক হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার, ২০১৮ সালে এক হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে এক হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

অক্টোবর রেমিট্যান্স

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর