এগিয়ে আসছে সিত্রাং, সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত
২৪ অক্টোবর ২০২২ ১০:১৯
ঢাকা: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরও এগিয়ে এসেছে। ফলে দূরত্ব কমেছে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকার সঙ্গে। এর প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এদিকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিত্রাং উত্তর দিকে এগিয়েছে। রোববার মধ্যরাতে এটি অবস্থান করছিলো চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, যা সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছিলো ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। যা সোমবার সকালে আরও এগিয়ে এসে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে মাত্র ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ দক্ষিণ-পশ্চিমে আর পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল ২৫ অক্টোবর পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়া কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষিপ্ত রয়েছে। ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এর আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সর্তক সংকেত নামিয়ে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আর উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদসংকেত এর আওতায় থাকবে।
এদিকে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরে তিন নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় বাংলাদেশের উপকূল এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ৪৪-৮৮ মিলিমিটার থেকে অতিভারি ৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত বর্ষণ হতে পারে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও