জজ মিয়াকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
২৫ অক্টোবর ২০২২ ১২:১৫
ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চার বছর কারাভোগ করা সেই মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ রায়।
এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর জজ মিয়ার পক্ষে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।
রিটে জজ মিয়াকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় জজ মিয়াকে যারা জড়িয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করতে আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
এর আগে ১১ আগস্ট জজ মিয়ার পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মোহাম্মদ কাউছার তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১১ জন বরাবর এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠান।
আরও যাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তারা হলেন- স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ওসি, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), তৎকালীন আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, তৎকালীন এএসপি আব্দুর রশিদ, তৎকালীন এএসপি মুনশি আতিকুর রহমান এবং তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন।
নোটিশে ওই ঘটনার জন্য জড়িত ব্যক্তিদের দায় নির্ধারণের জন্য একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। যাদের দায় পাওয়া যাবে তাদের কাছ থেকে ওই ক্ষতিপূরণ আদায় করে জজ মিয়াকে দিতে বলা হয়। পাশাপাশি লুৎফুজ্জামান বাবরসহ জড়িত ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আইনগত পদক্ষেপের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, অন্যথায় হাইকোর্টের রিট করা হবে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবী। তবে ওই নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন জজ মিয়া।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/আইই