Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সিত্রাংয়ে ১০ হাজার ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড, প্রাণ গেছে ৯ জনের’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৪৬

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সারা দেশে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সিত্রাং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ৪১৯টি ইউনিয়নের ১০ হাজার ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড করেছে। তবে ধীরে ধীরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হচ্ছে। এখন আর কোনো শঙ্কা নেই।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, যতটা ভয়ঙ্কর ধারণা করা হয়েছিলো, ততটা আঘাত সিত্রাং করেনি। ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহনির্মাণে শিগগির সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত ২০ অক্টোবর প্রথমে লঘুচাপ, পরে নিম্মচাপ, গভীর নিম্মচাপ থেকে এটি ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। যেভাবে ক্ষতি করার কথা ছিলো, তা হয়নি। বাতাসের গতি ৮০ কিলোমিটারের ওপরে যায়নি। আমাদের হিসাব করা সময়ের আগেই সিত্রাং শেষ হয়ে যায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৪ অক্টোবর রাতে বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া দফতরের তথ্যানুযায়ী সন্ধ্যা সাতটায় উপকূলে আঘাত করে সিত্রাং। রাত ৯টায় এটি প্রথমে বরগুনা ও পটুয়াখালী থেকে অতিক্রম করার কথা থাকলেও পরে আরো পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ভোলা, লক্ষ্মীপুর হয়ে চট্টগ্রাম অতিক্রম করে নিম্মচাপে পরিণত হয়।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে দেশের উপকূলীয় ৪১৯ টি ইউনিয়নে আঘাত হেনেছে। এতে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৬ হাজার ফসলি জমি নষ্ট হয়, এক হাজার মৎস্য ঘের পানিতে ডুবে যায়।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ভোলায় ৭ ফুট জলোচ্ছ্বাস প্লাবিত হয়। উপকূলীয় অঞ্চল ছাড়াও কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জ ও ঢাকাতেও আঘাত করেছে। ঢাকাতে গাছ উপড়ে গেছে, সন্ধ্যায় সংসদ ভবনের সামনে গাছ উপড়ে যায়। মোহাম্মদপুরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

তিনি জানান, ঝড়ে বাতাসের তোড়ে বাসা বাড়িতে গাছ পরে বিভিন্ন স্থানে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জের দুই নিহত পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকাও দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ৬ হাজার ৯২৫ আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ লোক নিয়ে আসা হয়। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু রাত ১০টার পর ঝড়টি অতিক্রম করেছে, সেহেতু মধ্যরাত থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়া শুরু করে। সকালের মধ্যে সকল আশ্রয়কেন্দ্র খালি হয়ে যায়।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি এখন লঘুচাপ আকারে আছে, সেজন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর নৌ-সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন জেলায় জমে থাকা পানি নামতে শুরু করেছে, ধীরে ধীরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হচ্ছে। আর কোনো শঙ্কা নেই।

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর