ঢাকা: পায়রা সমুদ্রবন্দরে আরও ভালো সুযোগ-সুবিধাসহ এর সুষ্ঠু কার্যক্রম নিশ্চিতে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পায়রাবন্দর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। পটুয়াখালীর কলাপাড়া পায়রাবন্দর প্রান্তে সংশ্লিষ্টমন্ত্রীসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী যে কাজগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন সেগুলো হলো- বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং, আটটি জাহাজের উদ্বোধন, প্রথম টার্মিনাল এবং ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ।
এদিকে, বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে পটুয়াখালী পায়রাবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘পায়রা বন্দর দেশের অর্থনীতির জন্য নতুন বার্তা নিয়ে আসবে। এই বন্দর মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ২ শতাংশ অবদান রাখবে। পায়রাবন্দর দেশের গভীরতম তৃতীয় সমুদ্রবন্দর। এটা নিয়ে সরকারের বড় বড় স্বপ্ন আছে। বন্দরকেন্দ্রিক অনেক উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে পায়রা সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সাজসজ্জা ও ব্যানার-ফেস্টুন এবং রঙিন পতাকায় সেজেছে পুরো বন্দর এলাকা।
উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পগুলো হলো- রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিং ও বন্দরের আটটি সহায়ক জলযান। এছাড়াও পায়রা বন্দরের ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম টার্মিনাল, ছয় লেন বিশিষ্ট সংযোগ সড়ক ও আন্দারমানিক নদীর ওপর ১ দশমিক ১৮ কিলোমিটার চার লেন সেতু নির্মাণ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পায়রা বন্দর আগামীতে পরিপূর্ণ সক্ষমতার সঙ্গে যাত্রা শুরু করবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। প্রায় ১১ হাজার ৭২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হবে।