সিডনিতে এসএসসি-৯৩ ব্যাচের মিলনমেলা
২৯ অক্টোবর ২০২২ ১৭:১৩
দেশের এসএসসি ৯৩ ব্যাচের একঝাঁক উজ্জ্বল নক্ষত্র এক অভূতপূর্ব মিলনমেলায় একত্রিত হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ৯৩ ব্যাচের বন্ধু এবং অস্ট্রেলিয়া ভিকারন্নিসা নূন এলামনাইয়ের মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মাহবুবা খানম মুক্তার আমন্ত্রণ ও আয়োজনে মিলনমেলায় যোগ দেন তারা।
ডা. মাহবুবা খানম মুক্তার পরিচালনায় ও আপ্যায়নে বাংলদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৯৯৩ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষায় রেকর্ড পরিমাণ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকারী এ এস এম রফিক উল্লাহ রোমেল।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিডনিতে বসবাসরত ৯৩ ব্যাচের ডা. ফয়জুর রেজা ইমন, ডা. রোকেয়া ফকির কেয়া, ডা. শামা পারভীন, ডা. সাব্বির রহমান সুষম এবং ডা. ইফাত আনজুম তানিয়া, নগর পরিকল্পনাবিদ মাসুদ হাসান, ফার্মাসি বিশেষজ্ঞ আশিকুল আলম, ডা. নূরুল মোর্শেদ চৌধুরী এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ।
এছাড়াও ভার্চুয়ালি তাদের সঙ্গে যোগ দেন ইংল্যান্ড থেকে অধ্যাপক বিদিত লাল দে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সমাজবিজ্ঞানী সেইন্ট আকুঞ্জী এবং বাংলাদেশ থেকে ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস।
মিলনমেলায় ছাত্রজীবনের সেই পুরো দিনের আড্ডায় ফিরে যান তারা। স্মৃতিচারণ করেন ফেলে আসা দিনগুলোর। এসময় বন্ধুরা একে অন্যের খোঁজখবর নেন। তাদের ছেলেমেয়েদের ও অভূতপূর্ব আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়।
এ এস এম রফিক উল্লাহ রোমেল বলেন, দেশের বাইরে আসলে দেশের প্রতি ভালোবাসার অনুভূতি কয়েকগুণ বেড়ে প্রজ্বলিত হয় হৃদয় প্রকোষ্ঠ। আবার দেশের বাইরে বন্ধুদের সাফল্য দেখলেও গর্ব অনুভূত হয়। ৯৩ ব্যাচের মেধাবীরা আজ দেশের প্রতিটি সেক্টরে নেতৃত্ব পর্যায়ে। প্রবাসেও তারা আলো ছড়াচ্ছে। এতে বিশ্বে দেশের সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নটরডেম কলেজের সাবেক বিখ্যাত বিতার্কিক ডা ফয়জুর ইমন বলেন, এখানে আমাদের বাংলাদেশি কমিউনিটি আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে সিডনিবাসীর ভূমিকা আছে এবং এটি আরো বাড়বে।
এছাড়া ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হওয়া ভিকারুন্নিসার সাবেক বিতার্কিক ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস বলেন, আমাদের ৯৩ ব্যাচটা এমনিতেই অন্য রকম। এসএসসি পরীক্ষায় আমাদের ব্যাচের রেকর্ড অন্য কোনো ব্যাচ ভাঙ্গতে পারেনি। সাংগঠনিকভাবেও আমরা সমৃদ্ধ। আমাদের ডুফা নামে দেশেও শক্তিশালী সংগঠন আছে। কিছুদিন আগে একটা ক্লাবও করেছি আমরা। আজ সিডনিতেও আমাদের ব্যাচের এই মিলনমেলা দেখে দারুণ লাগছে।
ডা. মাহবুবা খানম মুক্তা উপস্থিত বন্ধুদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, প্রবাসে থাকলেও দেশকে বরাবরই ভীষণ মিস করি আমরা। তাই যখনই সুযোগ পাই দেশে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করি। আজকে ছাত্রজীবনের বন্ধুদের এই মিলনমেলায় উপস্থিত সবাই সমাজের নানা ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত। তবুও আমরা সুযোগ পেলে মিলিত হওয়ার চেষ্টা করি। ব্যস্ততার মধ্যেও আজকে এই আয়োজনে উপস্থিত হওয়ার জন্য বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
অনুষ্ঠান শেষে হলিক্রস কলেজের সাবেক বিতার্কিক ডা শামা পারভীনের সংগীত পরিবেশনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যান তার বন্ধুরা।
ভবিষ্যতে আবার একত্রিত হবার বাসনায় ও প্রতিজ্ঞায় সাঙ্গ হয় ৯৩ ব্যাচের সিডনী চ্যাপ্টারের মিলনমেলায়।
সারাবাংলা/আইই