ফরিদপুরের বরকত-রুবেলের স্ত্রীদের আত্মসমপর্ণের নির্দেশ
৩০ অক্টোবর ২০২২ ১৯:২৫
ঢাকা: ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকতের স্ত্রী আফরোজা পারভীন এবং ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরোজকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্প করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩০ অক্টোবর) হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী এ বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকতের স্ত্রী আফরোজা পারভীন ও ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরোজকে আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের জামিন দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম। পরে এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
তার আগে গত ১২ মার্চ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেলের বিরুদ্ধে ১২টি বাস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়।
বাসগুলো দুই ভাইয়ের মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের। এগুলো পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জব্দ হিসেবে ফরিদপুর জেলা পুলিশের জিম্মায় ছিল।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল গফফার বাদী হয়ে বাসগুলো পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে নাশকতা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
অর্থপাচার মামলায় আদালতের মাধ্যমে সাউথ লাইন পরিবহনের ২২টি বাস আলামত হিসেবে জব্দ করেছিল ঢাকার সিআইডি পুলিশ। বাসগুলো ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামটে ওজোপডিকো কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়। বাসগুলোর মধ্যে ১০টি শেড দিয়ে ঘেরা ছিল এবং আর অপর ১২টি ওই জায়গার পাশে নিচু জমিতে রাখা ছিল।
মার্চের ১২ তারিখে ১২টি বাসের ১টিতে আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন অন্য বাসে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২১ মার্চ বাস পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে ফরিদপুরের বরকত ও রুবেলের তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন- ফরিদপুর শহরের পশ্চিম গোয়ালচামই মহল্লার বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম জনি (২৪) ও পারভেজ মৃধা (২১) এবং নদরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪১)। গ্রেফতার হওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজন ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট শফিকুল ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে বরকত-রুবেলের স্ত্রীর নামও উঠে আসে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ