শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ১৫ কোটি টাকা দিলো বিএটি
৩০ অক্টোবর ২০২২ ২৩:০০
ঢাকা: শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা লভ্যাংশ জমা দিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশ।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএটি বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাদ জসিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ১৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩শ’ টাকার একটি চেক প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির নিট লাভের শতকরা পাঁচ ভাগের এক দশমাংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা প্রদানের বিধান রয়েছে। এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ২৯৮ টি কোম্পানি এ তহবিলে নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করছে। এ তহবিলে আজ পর্যন্ত জমার পরিমাণ ৭৬৮ কোটি টাকার বেশি।
এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেxয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৩৭ শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সচিব মো. এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, যুগ্ম সচিব মো. মহিদুর রহমান, বিএটি এর এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান শেখ শাবাব আহমেদ এবং কনসালট্যান্ট আখতার আনোয়ার খানসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠনের পর থেকে একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএটি বাংলাদেশ তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ এই তহবিলে নিয়মিতভাবে প্রদান করে আসছে। গত ১০ বছরে এই তহবিলে অদ্যাবধি সর্বমোট ৮৪ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৭ শত ৭০ টাকা প্রদান করেছে বিএটি। এ বছরের প্রদানকৃত লভ্যাংশ ১৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩শ’ টাকা গত অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বেশি বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক বিবৃতিতে বিএটি বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাদ জসিম বলেন, ‘বিএটি বাংলাদেশ দেশের উন্নয়ন সহযাত্রী হিসেবে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে আসছে। শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রতিবছর আমাদের অনুদান তারই একটি অংশ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি যে যার অবস্থান থেকে একইভাবে এগিয়ে আসে, তাহলে যে সম্ভাবনাময় আগামীর স্বপ্ন আমরা দেখি, তা অদূর ভবিষ্যতেই বাস্তবায়িত হবে।’
সারাবাংলা/একে