ঢাকা: গাজীপুরে সিএনজি পাম্পে বিস্ফোরণে ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় সবারই মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনোয়ারুল ইসলাম (২৭)।এ নিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫ জনই মারা গেলেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আনোয়ারুলের শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো, শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিলো। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
আনোয়ারুলের ছোট বোন আঞ্জু আক্তার জানান, তাদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার মিত্রমাটি গ্রামে। বাবার নাম আজিজুল হক। বর্তমানে গাজিপুর গাছা কলম্বিয়া এলাকায় স্ত্রী লাকি ও ১ মেয়েকে নিয়ে থাকতেন আনোয়ারুল। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করতেন।
ঘটনার দিন হাসপাতালে দগ্ধ আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তিনি ও আলআমিন গাছা এলাকার ‘ফাহিম বয়লার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করেন। ডিজেলচালিত একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে বড়বাড়ি এলাকার হাজী ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশন যান। ভ্যানটিতে আনুমানিক দেড়শ খালি সিলিন্ডার ছিলো। সেগুলোতেই পাম্প থেকে গ্যাস নেওয়ার কথা ছিল। গ্যাস নেওয়ার শুরুতেই বিকট এক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গাড়িতে থাকা ৫ জনই দগ্ধ হন।
এর আগে, বিস্ফোরণের ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম টুটুল (২৮, পারভেজ (৩১) ও আতিকুল ইসলাম মিঠু (২৫) এবং আল-আমিন (৩০) নামে চার জন মারা যান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গাজীপুর গাছা বড়বাড়ি এলাকায় হাজী ওয়াহেদ ফিলিং স্টেশনে একটি কাভার্ডভ্যানে অবৈধভাবে গ্যাস নেওয়ার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিস্ফোরণ হয়। এতে ৫ জন দগ্ধ হন। পরে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।