ধর্মঘটে শাস্তির বিধান রেখে ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন’ অনুমোদন
৩১ অক্টোবর ২০২২ ১৫:২৫
ঢাকা: আইনে কোনো পরিষেবাকে অত্যাবশ্যক ঘোষণার পর কর্মীরা বেআইনি বা অবৈধভাবে ধর্মঘট ডাকলে তাদের চাকরিচ্যুত করার সঙ্গে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেলের বিধান রেখে অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন ২০২২ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সোমবারের (৩১ অক্টোবর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এতথ্য জানান।
এসেনশিয়াল সার্ভিসেস মেনটেনান্স অ্যাক্ট ১৯৫২ ও দি এসেনশিয়াল সার্ভিসেস (সেকেন্ড) অর্ডিন্যান্স ১৯৫৮ এই দু’টি আইনকে এক করে ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন’ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ আইন পাস হলে সরকার যদি মনে করে বা প্রয়োজন হয় বিভিন্ন সার্ভিসকে অত্যাবশ্যক পরিষেবা ঘোষণা করতে পারবে। আর এটা ঘোষণা করলে সেখানে স্ট্রাইক (ধর্মঘট) করা যাবে না, বন্ধ করা যাবে না। মালিকরা লে-অফও করতে পারবেন না। আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ ১ বছর ও ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিতের বিধান রাখা হয়েছে।’
অত্যাবশ্যক বলতে আইনে বোঝানো হয়েছে, ডাক, টেলি যোগাযোগ, ইন্টারনেট সেবা, তথ্য প্রযুক্তিসহ সব ডিজিটাল সেবা, মোবাইল ফাইন্যান্সিং, ডিজিটাল আর্থিক সেবা, গ্যাস, বিদ্যুৎ, উৎপাদন ও সরবরাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাজকে বোঝাবে।
এছাড়াও জল, স্থল ও আকাশ পথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, বিমানবন্দর পরিচালনা, স্থল ও নদীবন্দর পরিচালনা কাস্টমসের মাধ্যমে কোনো পণ্য ও যাত্রীর পণ্য ছাড় করার কাজ, সশস্ত্র বাহিনীর কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম, প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য বা মালপত্র উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রম বা খাদ্য কেনা, সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্যক্রম এই সেবার আওতাভুক্ত।
সরকার যদি মনে করে কোনো কারণে কখনও এসব বিষয়কে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করতে হতে, তবে ঘোষণা করতে পারবে। সে ঘোষণা সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য কার্যকর থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে ধর্মঘট করলে তাকে বরখাস্তসহ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা অর্থাৎ চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/জেআর/এমও